ঘোড়াঘাটে পুলিশ কনস্টেবলে চাকরির ভূয়া সুপারিশপত্র দিয়ে প্রতারণা, প্রতারক গ্রেপ্তার

মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধি | ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ০৯:২৫

পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার শামীম।

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পুলিশ কনস্টেবলে চাকরি প্রত্যাশী একজনকে ভূয়া সুপারিশপত্র দিয়ে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে শামীম(৩৮) নামে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকালে থানার অফিস কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এতথ্য জানান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শরিফুল ইসলাম ঘোড়াঘাট-হাকিমপুর সার্কেল।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঘোড়াঘাট থানার ওসি আসাদুজ্জামান এবং ওসি (তদন্ত) এনামুল হক এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক আজিজার রহমান। এর আগে ওই দিন দুপুরে সিরাজুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় পৌরশহরের নয়াপাড়া এলাকার শ্বশুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে তিনি জানান, পৌরএলাকার সিরাজুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির ছেলেকে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরি দেওয়ার কথা বলে গত বছরের ফেব্রুয়ারির ৫ তারিখে ১ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা নেন শামিম। বিনিময়ে দেন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি কামরুল আহসানের স্বাক্ষর জাল করে পুলিশ সদর দপ্তরের প্যাডে একটি ভুয়া সুপারিশপত্র। এরপর বাদী সিরাজুল ইসলামের ছেলে সেবছর দিনাজপুর পুলিশ লাইনে চাকুরির জন্য উপস্থিত হন এবং চাকুরী না পেয়ে ফেরত আসে। পরে সুপারিশ পত্রে কাজ না হওয়ার বিষয়টি অবহিত করেন শামীমকে। এসময় প্রতারক শামীম বাদী সিরাজুল ইসলামকে বলেন কোন সমস্যা নাই যেভাবেই হোক ছেলেকে পরের বার পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকুরী নিয়ে দিবে। অনেক ঘুরাঘুরির পর  বাদী জানতে পারেন শামীম একজন প্রতারক এবং প্রতারক চক্রের সদস্য। সেই সাথে তিনিও প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরে থানায় মামলা দায়ের করলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শামীম প্রতারণার বিষয়ে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দেন।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, প্রতারক শামীম গাইবান্ধা জেলার পলাশবাড়ীর সিধল গ্রামের। বিয়ে করার সুবাদে সে পৌরশহরের নয়াপাড়াতে শ্বশুর বাড়িতে থেকে এই প্রতারণা চালাতেন। 

ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, গ্রেপ্তার শামীমকে আজ শুক্রবার বিকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আসামীকে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: