ধর্ষণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় জাবি প্রশাসনের অভিযোগ দায়ের

জাবি সংবাদদাতা | ৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২১:৩২

ধর্ষণের ঘটনায় আশুলিয়া থানায় জাবি প্রশাসনের অভিযোগ দায়ের
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) স্বামীকে হল কক্ষে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগপত্র দায়ের করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 
 
এর আগে গত রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ধর্ষনের ঘটনায় দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ  করে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মামলা করাসহ অন্যান্য দাবি জানান বিক্ষোভকারীরা। এরই প্রেক্ষিতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেজিস্টার আবু হাসান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
 
অভিযোগপত্রে বলা হয়, 'গত ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ জনৈক মহিলার স্বামীকে মামুন নামে এক ব্যক্তি জাবি ক্যাম্পাসে ঘুরতে নিয়ে আসেন। মামুন ঐ মহিলার স্বামীকে জানায় যে, তিনি কয়েকদিন মীর মশাররফ হোসেন হলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানের কাছে থাকবেন তাই তাদের বাসায় থাকা মামুনের জামা-কাপড় আনা প্রয়োজন। মামুনের কথায় মহিলার স্বামী মাহিলাকে ফোন করে মামুনের জামা-কাপড় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতে বলেন। এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: মোস্তাফিজুর রহমান এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৪- তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: মুরাদ হোসেন ঐ মহিলার স্বামীকে মীর মশাররফ হোসেন হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে আটকে রাখে।'
 
অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, ’মহিলা তার স্বামীর কথামতো মামুনের জামা-কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে মীর মশাররফ হোসেন হলের সামনে আসলে মামুন তার কাছ থেকে জামা-কাপড়ের ব্যাগ নিয়ে হলের কক্ষে রেখে আসে। মহিলার স্বামী হলের অন্য ফটক (জঙ্গলের দিকে) দিয়ে আসবেন বলে ঐ মহিলাকে জানিয়ে সেদিকে যেতে বলেন। পরে মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এবং মামুন মিলে জোরপূর্বক ঐ মহিলাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানিক্যাল গার্ডেনের পেছনের অংশে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ঐ দম্পতি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বের হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা (আশুলিয়া থানার মামলা নম্বর: ১০/৮২) দায়ের করে।'
 
অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়েছে, 'খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডি, হল প্রশাসন ও নিরাপত্তা শাখার লোকজন পুলিশসহ মীর মশাররফ হোসেন হলে উপস্থিত হয়ে অপরাধীদের আটক করতে গেলে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৪-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এ এস এম মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকি, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭-তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হোসেন সাগর ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫- তম ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসানুজ্জামান অভিযুক্তদের পলায়নে সহায়তা করে। এ সময় অভিযুক্তদের পর্যায়নে সহযোগিতাকারীদের হল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট সোপর্দ করা হয়।'
 
তবে ধর্ষণের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত বহিরাগত মামুন এই মামলার অভিযোগের আওতাভুক্ত কি না তা জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও আইন‌ কর্মকর্তা মাহতাব-উজ-জাহিদকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি এ বিষয়ে অবগত নন বলে জানান।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: