পুলিশের সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা 

সময় ট্রিবিউন | ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২২:৩৯

পুলিশের সামনেই এলোপাথাড়ি কুপিয়ে হত্যা 

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জমিসংক্রান্ত বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুদফা হামলায় কুদ্দুস মিয়া(৫৫) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। নিহত কুদ্দুস মিয়ার বাড়ি উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের আটিপাড়া গ্রামে। এর আগে গত শনিবার দুই গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরোও ৫ জন আহত হয়। 

এদিকে দায়িত্ব অবহেলার কারণে এসআই আব্দুস সালাম ও এ এসআই আজিজুলকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে যুক্ত করা হয়েছে। হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে ও হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে।
 
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার সকাল ৭ টার দিকে সিরাজপুর হাটের উত্তর পাশে আবু কালামের নেতৃত্বে মিলন, জুবায়ের, আব্দুল আলীম, রাসেল, জব্বার, হারুনসহ ১০-১৫ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে প্রতিপক্ষ শাহিনুর ও ফারুকের ওপর হামলা করে। এরপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। 
 
সংঘর্ষের খবর পেয়ে শান্তিপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই আব্দুস সালাম মিয়া সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তার প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশের উপস্থিতিতে দ্বিতীয় দফায় আটিপাড়া মসজিদের সামনের পাকা রাস্তায় ব্যবসায়ী কুদ্দুসের উপর আবারো হামলা করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুদ্দুস মিয়া মৃত্যু বরণ করেন।
 
নিহতের বোন জাবেদা অভিযোগ করে বলেন, পুলিশের সামনেই আমার ভাইকে এলোপাথাড়ি কোপানো হয়। পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ ব্যবস্থা নিলে আমার ভাই মারা যেত না।
 
 
 
 
এ বিষয়ে সিংগাইর থানার ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, আমিওতো ওসিগিরি করি ভাই সব খবরই রাখি । বিষয়টি যেটা হয়েছে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছিল কিন্তু পুলিশের চোখের সামনে এমন মারছে এই ঘটনা সঠিক না । দীর্ঘদিন যাবত সিরাজপুর বাজার ও আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল তারই ভিত্তিতে এই মারামারি হয়েছে । এ বিষয়ে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। 
 
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার পরবর্তী বক্তব্য অনুযায়ী (নিহতের স্বজনরা দুই পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে তাই তাদের প্রত্যাহার করা হয়েছে)।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: