নরসিংদীতে ইউপি সদস্যের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার অভিযোগ

আশিকুর রহমান, নরসিংদী প্রতিনিধি | ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ২১:৩০

নরসিংদীতে ইউপি সদস্যের ওপর সন্ত্রাসীদের হামলার অভিযোগ
নরসিংদী সদর উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নে চাঁদা দাবীর প্রতিবাদ করায় এক ইউপি সদস্য হামলার শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
 
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারী) রাত ৯ টায় উপজেলার নজরপুর ইউনিয়নের চম্পকনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় চম্পকনগর গ্রামের মৃত নবী মিয়ার ছেলে সন্ত্রাসী আমজাদ হোসেন ওরফে কেতা ও তার ভাই রিমন মিয়া, একই গ্রামের মৃত শহিদুল্লাহ'র ছেলে আব্বাস ও মনির হোসেনের ছেলে নবী হোসেনকে আসামি করে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন হামলায় আহত নজরপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ দেলোয়ার হোসেন।
 
ভুক্তভোগী দেলোয়ার হোসেন বলেন, চম্পকনগর গ্রামের বাসিন্দা মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে বাছেদ মিয়ার নিকট এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারি আমজাদ হোসেন কেতা ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন। বাছেদ মিয়া চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে তাকে মেরে ফেলার  হুমকি দেয়। পরে ভুক্তভোগী বাছেদ মিয়া আমার নিকট অভিযোগ করলে আমি কেতা কে আমার অফিসে ডেকে এনে একাজ থেকে বিরত থাকতে বলি এবং সাবধান করি। আমার অফিস বের হয়ে তার নেতৃত্বে তার ভাই রিমন, আব্বাস, নবী সহ আরও অজ্ঞাত ৫/৭ জন রামদা, চাপাতি, লোহার পাইপ নিয়ে আমার ওপর আতর্কিত হামলা করে। প্রানে বাঁচতে আমি দৌড়ে পালিয়ে যাই এবং সাথে সাথে জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ কল করলে দ্রুত টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে চলে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে আমি দিবাগত রাতে থানায় হাজির হয়ে অভিযোগ দায়ের করি।
 
বাছেদ মিয়া প্রতিনিধিকে জানান, আমজাদ হোসেন ওরফে কেতা এলাকায় মাদক বিক্রেতা, চাঁদাবাজ হিসেবে পরিচিত। গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারী) সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই সে আমার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। টাকা না দিলে সে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি আমি এলাকার স্থানীয় মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে জানালে তারা আমাকে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে পরামর্শ দেন। পরে আমি স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারকে জানিয়ে কেতার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
 
গ্রামের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, দুঃখজনক ঘটনা। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এলাকার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা ও সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বারের কাছে অভিযোগ করার দায়ে ওই মাদক বিক্রেতার কাছে ওয়ার্ড মেম্বারই যদি সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন, তাহলে আমরা কোথায় বিচার চাইবো বা পাবো। এসব মাদক বিক্রেতাদের কারণে সমাজে বসবাস করাই কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ছেলে-মেয়েরা স্কুলে যেতে পারে না। তারা রাস্তায় জড়ো হয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমরা প্রশাসনের কাছে দাবী জানাই চরাঞ্চল থেকে মাদক বিক্রেতাদের গ্রেপ্তার করে সমাজ থেকে মাদক নিমূল করুন।
আমজাদ হোসেন কেতা'র সাথে প্রতিনিধি  যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তাকে এলাকার কোথাও খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এঘটনার পর থেকে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বলে জানা যায়।    


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: