শিক্ষক ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ

নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি | ১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪, ১৩:১৬

শিক্ষক ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ
শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে প্রাইমারী স্কুলের এক শিক্ষকসহ তার ভাইদের বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজীর মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে।
 
উপজেলার কলসপাড় ইউনিয়নের ঘোগড়াকান্দি গ্রামের ওই পরিবারের বিরুদ্ধে পাঁচগাঁও বাজারে জয়নাল আবেদীনের মেশিনারী দোকানে বিকেলে চাঁদাবাজী ও চাঁদা না পেয়ে ক্ষয়ক্ষতির মতো ভুয়া অভিযোগ আনা হয়েছে বলে দাবি করেছেন শিক্ষক মোশারফ হোসেন এবং তার ভাইয়েরা।
 
ওই মামলার প্রেক্ষিতে সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘোগড়াকান্দি গ্রামের জয়নাল আবেদীনদের সাথে একই এলাকার বাসিন্দা প্রাইমারী স্কুল শিক্ষক মোশারফ হোসেন, তার ভাই মিজানুর রহমান, মোস্তফা মিয়া, মুসলিম উদ্দিন, মতিউর রহমান, নয়ন মিয়া ও মিস্টার মিয়াদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিলো। এ নিয়ে উভয়পক্ষে পাল্টাপাল্টি মারামারি, মামলা, সাধারণ ডায়েরি এসবও হয়েছে। ওইসব ঘটনার জেরে নিজেদের মামলা অপেক্ষাকৃত দূর্বল বিধায় প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে গেল বছরের ১১ নভেম্বর মিথ্যা নাটক সাজানো হয় বলে দাবি ভুক্তভোগী শিক্ষক মোশারফ ও তার পরিবারের। শিক্ষক মোশারফ ও তার ভাইদের আসামী করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী সিআর আমলী আদালতে ৩ লাখ টাকা চাঁদাবাজীর অভিযোগ আনেন জয়নাল আবেদীন। ওই অভিযোগে বলা হয়, ‘বিবাদীগণ বিকেল তিনটার দিকে বাদী জয়নালের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে ৩ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে জয়নালকে মারধর করে ও দোকানের ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি করে।’
 
সরেজমিনে গেলে ওই মামলার বাদী জয়নাল আবেদীনের ছোট ভাই আলী হোসেন জানায়, এমন কোন ঘটনা তার জানা নেই এবং শোনেওনি।
 
জয়নাল আবেদীনের প্রতিবেশি মোটরসাইকেল মেকানিক মিজানুর রহমান জানান, চাঁদা দাবী, হুমকী বা এ জাতীয় কোন ঘটনাই ঘটেনি।
 
আরেক প্রতিবেশি ব্যবসায়ী ওয়ার্কশপের মালিক নূরে আলম জানান, পাশাপাশি দোকান জয়নালের। এমন কোন ঘটনাই তিনি দেখেননি বা শোনেননি।
 
প্রতিবেশি সেলুন কর্মী বাবুলও একই মতামত জানিয়ে বলেন, চাঁদা দাবী বা হুমকী এমন কোন ঘটনা তার জানা নেই, দেখেননি এবং শোনেননি।
প্রতিবেশি চায়ের দোকানদার আব্দুল মালেক জানান, এমন কোন ধরণের ঘটনা ওই বাজারেই ঘটেনি। অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা।
 
এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘদিন যাবত জমিজমা নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলায় প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলতে মিথ্যা চাঁদাবাজীর অভিযোগ আনা হতে পারে। এ বিষয়ে মামলার বাদী জয়নাল আবেদীন প্রথমে মামলার সত্যতা আছে দাবী করলেও পরবর্তীতে নিজেদের মধ্যে চলমান পারস্পরিক মামলা উভয়পক্ষের মাঝে সমঝোতার উদ্দেশ্যে মামলাটি করা হয়েছে বলে স্বীকার করেন।

আপনার মূল্যবান মতামত দিন: