দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার আশায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে দৌড়ঝাপ শুরু হয়ে গেছে। এদিকে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নরসিংদী থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে প্রার্থী হতে চাচ্ছেন এডভোকেট তাহমিনা তাহেরীন মুমু। তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য। এড. তাহমিনা তাহেরীন মুমু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন কৃষক লীগ নেতা হিসেবে রাজধানী ঢাকা সহ স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে দলের নির্দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থী নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করতে সচেষ্ট ভূমিকা রেখেছেন।
তিনি ১৯৭৪ সালের ৪ মার্চ নরসিংদীর শিবপুর উপজেলার সৃষ্টিগড় গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মরহুম ডা. এ এস এম জহিরুল আশরাফ ছিলেন স্থানীয় সুনামধন্য চিকিৎসক ও সমাজসেবক এবং মাতা আনোয়ারা আশরাফ বকুল গৃহিণী। ৫ বোন ২ ভাইয়ের মধ্যে তিনি বড়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইন পেশায় নিয়োজিত। আইন পেশায় নিয়োজিত থাকা সত্ত্বেও তিনি রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকান্ডে সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।
শিক্ষাগত যোগ্যতা :- স্থানীয় আটাশিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, ১৯৮৭ সালে চৈতন্যা বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি, ১৯৯০ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি, একই কলেজ থেকে ১৯৯৩ সালে বি.এ, ১৯৯৯ সালে ঢাকা ল কলেজ থেকে এলএলবি,২০০১ সালে তেজগাঁও সরকারি কলেজ থেকে এম.এস.এস এবং ২০০৯ সালে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি থেকে এল.এল.এম. নামক উচ্চতর ডিগ্রী লাভ করেন।
রাজনৈতিক পরিচিতি :- বাংলাদেশ কৃষক লীগ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য। ১৯৮৭ সালে নরসিংদী সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে হাতেখড়ি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার ঢাকা আইনজীবি সমিতির একাধিক পদে নির্বাচিত হয়ে সম্মুখে ভাগে নেতৃত্ব দিয়ে সুনাম অর্জন করেন।
সামাজিক অবস্থান :- সামাজিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলোতে রয়েছে অগ্রণী ভূমিকা।
এড. তাহমিনা তাহেরীন বলেন, “আওয়ামী পরিবারের সদস্য হিসেবে আমি আইন পেশার পাশাপাশি রাজনীতির সাথে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। সেই সাথে বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। আওয়ামী রাজনীতি করতে গিয়ে রাজপথে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাসীদের সাথে সম্মুখে লড়াই করেছি। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের বাইরে কখনও যাইনি। নেত্রীর নির্দেশ বরাবরই শিরোধার্য মনে করে দলীয় সকল কর্মকান্ডে উপস্থিত হয়ে দলের ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করেছি। তাই সেবার পরিধি বাড়াতে এবং নরসিংদী জুড়ে বর্তমান সরকারের চলমান উন্নয়নের সারথি হতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী।
তিনি আরও বলেন, দলের সভাপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে মনোনয়ন দেন। তাহলে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে আপামর জনসাধারণের জন্য কাজ করে যেতে চাই। আমার বিশ্বাস, বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন কর্মী হিসেবে আমাকে মনোনয়ন দিবেন। আমি সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশের অংশীদার হয়ে কাজ করে যাবো (ইনশাআল্লাহ)।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: