আশুলিয়ায় বিয়ের চাপে প্রেমিকা খুন,  গ্রেপ্তার প্রেমিক 

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি | ৩০ জানুয়ারী ২০২৪, ১৪:৫০

আশুলিয়ায় বিয়ের চাপে প্রেমিকা খুন,  গ্রেপ্তার প্রেমিক 
সাভারের আশুলিয়ায়  স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেওয়ার তিন দিনের মাথায় এক পোশাক শ্রমিককে খুনের দায়ে শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা (২৬) নামের পোশাক শ্রমিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। 
 
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে আশুলিয়া থানায় এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম। এর আগে আজ ভোররাতে আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
গ্রেপ্তার শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজা রাজশাহী জেলার দুর্গাপুর থানার জয়কৃষ্ণপুর গ্রামের আবাদুল জলিলের ছেলে। তিনি স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। নিহত ববিতা গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার পশ্চিম খাটিয়ামারি গ্রামের মৃত আজিজুল হকের মেয়ে। 
 
সংবাদ সম্মেলনে সাভার সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সাহিদুল ইসলাম বলেন, নিহত ববিতা গাজীপুরে থেকে একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তার পূর্বের স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ হলে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকায় এসে ভাড়া থাকতে শুরু করেন। পরে শিমুল আলী ওরফে শিমুল রেজার সাথে নিহত ববিতার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ববিতা শিমুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে। তবে শিমুল বিয়েতে রাজি না থাকায় ববিতাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সে অনুযায়ী শিমুল স্বামী স্ত্রীর পরিচয়ে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ির একটি কক্ষ ভাড়া নেয়। বাসা ভাড়া নেওয়ার দুই দিন পর ববিতাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে শিমুল। পরে কক্ষের বাহির থেকে তালা দিয়ে পালিয়ে যায় শিমুল। এঘটনায় নিহতের ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। 
 
আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী  কর্মকর্তা (এসআই) আবুল মালেক বলেন, হত্যাকারী খুব চালাক প্রকৃতির। তিনি হত্যাকান্ডের পরে নিহতের ভোটার আইডি কার্ডসহ সমস্ত কাগজপত্র লোপাট করে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ববিতার পূর্বের স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে তথ্য সংগ্রহ করে শিমুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
 
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার দ্বীন মোহাম্মদের বাড়ি থেকে নিহত ববিতার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে নিহতের ভাই বাদশা মিয়া বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: