মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়

একাডেমি সুপারভাইজার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন বানচালের অভিযোগ

কলাপাড়া প্রতিনিধি | ১৫ জানুয়ারী ২০২৪, ২০:২৪

একাডেমি সুপারভাইজার ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে নির্বাচন বানচালের অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান মহিপুর কো-অপারেটিভ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। একসময়ে এই প্রতিষ্ঠানটি ছিল এই উপজেলায় অন্যতম।
 
অভিযোগ রয়েছে প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নানা অপকর্মে জড়ায়, এর ফলে প্রতিষ্ঠানের আর্থিক ক্ষতিসহ নষ্ট হয়েছে শিক্ষার মানও, গতবছর এইচএসসি পরীক্ষায় ২৩০ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করে ১৯৪ জন পাস করলেও জিপিএ-৫ পেয়েছে মাত্র ৪টি, প্রতিষ্ঠানে আশানুরূপ রেজাল্ট না থাকায় প্রধান শিক্ষককে দায়ী করেন অভিভাবকরা।
 
সরেজমিনে জানা যায়, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হবে, ফেব্রুয়ারী ২০২৪শে এরই ধারাবাহিকতায় নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করে ম্যানেজিং কমিটি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা, ফরম বিতরণ, ফরম জমাদান, বাঁছাই প্রক্রিয়া এবং ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারণ সহ সকল প্রক্রিয়া চলছিল ঠিকঠাকভাবে, এরই ধারাবাহিকতায় ভোট গ্রহনের তারিখ ধার্য ছিল রবিবার ১৪ জানুয়ারি এই নির্বাচনে অভিভাবক সদস্য পদে ফরম পূরণ করেন ১০জন, তবে একজনে ফরম তুলে নিলেও, নির্বাচনী মাঠে ছিল ৯জন।
 
অভিভাবকরা ভোট দিতে বিদ্যালয়ে এসে ভোট গ্রহনের পরিবেশ না দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন, খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একজন রাখাইন উপজাতি বিদ্যালয়ের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে, অভিযোগটিতে তিনি উল্লেখ করেন, তিনি প্রকৃত অভিভাবক হয়েও নাম নেই ভোটার তালিকায়। ত্রুটি যুক্ত ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন শেষ করতে চায় প্রতিষ্ঠানটি। অভিযোগটি আমলে নিয়ে উপজেলা একাডেমি সুপারভাইজার ও প্রিজাইডিং কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামানকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্তের নির্দেশ দেন। তিনি তদন্তে গড়িমসি করে বাদীকে হাজির না করে বিবাদীদের কথা শুনে নিজের মত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে। তবে বিদ্যালয়টির নির্বাচনের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে। সকল বিষয় তার জানা থাকলেও জানাননি অভিভাবক সদস্য প্রার্থী ও সাধারণ অভিভাবকদের। তাই ভোট দিতে এসে বিপাকে পড়েন অভিভাবকরা।
 
ভোট দিতে আসা সাধারণ অভিভাবক রুহুল আমিন দুলাল, আনোয়ার হােসেন, নিখিল চন্দ্র সরকার, নারায়ণ শীল, নিপা রানী, সাগরিকা রানী সহ একাধিক অভিভাবক বলেন, ভোট বাতিলের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি, বিদ্যালয়ের নোটিশ বোর্ডেও কোনও নোটিশ পাইনি। আমরা ভোট দিতে এসে দেখি ভোট গ্রহনের কোন প্রস্তুুতি নাই। আমরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছি। 
 
অভিভাবক সদস্য পদ-প্রার্থী রতন চন্দ্র খরাতী, ইদ্রিস হাওলাদার সহ অনেকে আক্ষেপ করে বলেন, নির্বাচনের সকল প্রক্রিয়া শেষ করে আমাদের আজ ভোট গ্রহনের দিন ধার্য ছিল, সেইমতে আমরা অভিভাবকদের নিয়ে এসেছি। এসে শুনি ভোট হবেনা। 
 
এবিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সালাম'র ব্যক্তিগত  ০১৭১৯০৪৯৩৬১ নম্বরে যোগাযোগ করলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। 
 
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোঃ জলিল বলেন শিক্ষকরা নির্বাচনের একটি চূড়ান্ত খসড়া করে আমাকে দেয়। সেটাতে আমি সাক্ষর করি। খসড়াটি ত্রুটিযুক্ত সম্পর্কে আমি অবগত নই, এটা বিদ্যালয়ের সুনাম নস্ট ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটি পায়তারা।
 
একাডেমি সুপারভাইজার ও প্রিডাইজিং কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেন,  বিষয়টিকে আমি নিষ্পত্তি করার জন্য বাদীকে নোটিশ করলেও তিনি আসেনি। এককথায় দায়সারা বক্তব্য দিয়ে তিনিও বিষয়টি এড়িয়ে যান।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: