ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়নের ছোট খারদিয়া গ্রামে একটি হত্যার রেশ না কাটতেই নিহতের পক্ষের ৩ জনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে জখম করেছে আসামী পক্ষের লোকজন। এ নিয়ে দু'দলের মধ্যে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংঘর্ষ হয়। নিহতের পক্ষের মারাত্মক আহত কাওছার মিয়া,জাকারিয়া, অহিদকে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে । তাদের অবস্থা গুরুতর।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ছোট খারদিয়া গ্রামের কাওছার মাতুব্বর ও জলিল মাতুব্বরের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবত আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর যাবৎ দ্বন্দ্ব - সংঘাত, মামলা মোকদ্দমা সহ বিভিন্ন বিষয় বিরোধ চলে আসছিল ।
গত প্রায় ছয় মাস আগে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঐ সংঘর্ষে জলিল মাতুব্বরের দলের আলমগীর মাতুব্বর নামে এক ব্যাক্তি মারা যায়। এ ঘটনায় কাউছার মাতুব্বর সহ তার দলের প্রায় ৫৫ লোককে আসামি করে ১টি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় । সেই হত্যা মামলায় কাওছার মাতুব্বর সহ সকলে দীর্ঘদিন জেল খাটে সম্প্রতি জামিনে বের হয়। এ ঘটনার জের ধরে কাওছার মাতুব্বর দলের অর্থশালী পান্নাল মাতুব্বর মালয়েশিয়া থেকে ছুটিতে সম্প্রতি দেশে আসে । পান্নাল তার দলের মামলা মোকদ্দমার সমস্ত খরচ সে ব্যয় করতো। পান্নাল দেশে আসার পর থেকে উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। অতি সম্প্রতি আলমগীর হত্যা মামলার বেশীর ভাগ আসামিই জামিনে বেরিয়ে আসে।
নিহতের স্বজনরা জানান, আসামীরা জামিনে বেরিয়ে এসেই বিভিন্ন ধরনের হুমকি দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাওসার মিয়াকে হত্যা মামলার আসামী পক্ষ ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। পরে দুইদলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র লাঠিসোটা নিয়ে ছুটে এসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এই সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন লোক আহত হয়।
এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুনুর রশিদ জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খারদিয়া গ্রামে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছি।
কয়েকজন লোক আহত হয়েছে। দুই দলের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এই ঘটনায় পান্নালকে প্রধান আসামি করে রাতে ১৬ জনের নামে মামলা হয়েছে। আসামীদেরকে আটকের চেষ্টা চলছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: