আশুলিয়ায় পুলিশ পরিচয়ে রিকশা চালককে চোর সাজিয়ে চালানের হুমকি ও মারধর করে টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪ এর একটি আভিযানিক দল। পরে র্যাব তাদেরকে থানায় হস্তান্তর করে।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন আশুলিয়ার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক।
এর আগে মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আশুলিয়ার নিরিবিলি এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলো- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার বাঁশতলা এলাকার মৃত ওয়াজ উদ্দিন শেখের ছেলে নান্নু মিয়া (৩৩), বরগুনা জেলার পাথরঘাটা থানার কালীবাড়ী এলাকার সাইদুর রহমান জমাদ্দারের ছেলে কবির হোসেন জমাদ্দার (৪২) ও আশুলিয়ার চারিগ্রাম এলাকার আব্বাস আলীর ছেলে আনিস আলী (৩২)। এদের মধ্যে নান্নু আশুলিয়ার গকুলনগর নামাপাড়া ও কবির হোসেন আশুলিয়ার কাঁঠালবাগান এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতো বলে জানা যায়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জুয়েল রানা নামের এক ড্রাইভারকে ডেকে নিয়ে অন্য একটি রিকশার চাবি ধরিয়ে দিয়ে চোর সাজানোর চেষ্টা করে এই প্রতারক চক্রটি। পরে তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে রিকশা চালকে থানায় নিয়ে চালানের হুমকি দেয়। এ সময় ওই রিকশা চালককে মারধর করে তার কাছে থাকা নগদ ৪ হাজার ৯৯৫ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
ঘটনার সময় স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়ে প্রতারক চক্রের নিকট পুলিশের আইডি কার্ড দেখতে চাইলে তারা কোনো আইডি কার্ড দেখাতে পারে না। পরে স্থানীয়রা র্যাবকে খবর দিলে র্যাব-৪ একটি টহলটিম তাদেরকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করে। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে কামরুল ইসলাম (৩২) নামের এক প্রতারক পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশুলিয়ার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবজালুল হক বলেন, গতকাল তিন প্রতারককে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব। আজ দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন যাবত নিজেদেরকে পুলিশ ও সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতো বলে জানা যায় ।
তাদের নিকট হতে প্রেস’র একটি আইডি কার্ড উদ্ধার করা হয়ে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: