আজকে ফরিদপুরে একটা ভয়ার্ত পরিবেশ। শামীম হকের পক্ষে কাজ করছে ফরিদপুরের শীর্ষ চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা। গতকাল রাতেও আমার কর্মীকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে। বর্তমানে সে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমার নারী কর্মীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। ঈগল মার্কার প্রচার-প্রচারণায় যারা কাজ করছেন তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে।
অসংখ্যবার থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। প্রার্থী নিজেও আমার কর্মীকে হুমকি দিচ্ছেন 'নির্বাচনের পরে দেখে নেবেন'। এসবের মধ্য দিয়েই নৌকা মার্কার প্রার্থী শামীম হক তার প্রার্থিতা বাতিলের সকল কর্মকাণ্ড করে ফেলেছেন বলে মন্তব্য করেছেন হামীম গ্রুপের কর্ণধার ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী
একে আজাদ।
তিনি আরো বলেন, 'নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর, প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীদের হামলাসহ চিহ্নিত অস্ত্রধারী-সন্ত্রাসীদের নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে ইতোমধ্যে শামীম হক তার প্রার্থিতা বাতিলের সকল কর্মকাণ্ড করে ফেলেছেন'।
বুধবার নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ফরিদপুর ৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ।
স্বতন্ত্র প্রার্থী একে কাদের আজাদের সমর্থক মোঃ আব্দুর রহমান শেখ ঝনকের উপর হামলাসহ গত কয়েকদিনের ভাঙচুর ও নৈরাজের প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
'এ কে আজাদ বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছেন' আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের এমন মন্তবের ব্যাপারে একে আজাদ বলেন, নির্বাচনী অফিসে হামলা, আমার কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করাসহ একটা ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করে শামীম হকই নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চান, এদিকে শামীম হক নির্বাচন ভণ্ডুলের সকল কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন। তিনিই মূলত বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল সাহা, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচন কমিটির প্রধান বাবু বিপুল ঘোষ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আইভী মাসুদ, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাড.শামসুল হক (ভোলা মাস্টার), সাবেক পৌর মেয়র মাহাতাব আলী মেথু, পৌর আওয়ামী লীগের আহবায়ক সহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঅঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: