ফরিদপুর জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার গোপালপুর ইউনিয়নে গোপালপুর গ্রামের কাজী মইনুল আলমের বিশেষ আম-মোক্তারনামা জমি জোর পূর্বক দখল করে নিয়েছে সাড়ে তিন, সাড়ে তিন করে মোট ৭ শতাংশ একই এলাকার সুরাই, স্বামী জসিমউদ্দিন জিকো গংরা।
আম মোক্তার নামা দলিলে দেখা যায় কাজী নজরুল ইসলাম, পিতা- মৃত: আসাদুজ্জামান, তফশিল বর্ণিত জমি হচ্ছে আলফাডাঙ্গার অধীন ১৭৩২নং তৌজিভুক্ত সিএস ২৮নং ও এসএ ২৮নং, মৌজা গোপালপুর, খতিয়ান নং- সিএস ৫৪৩, এস.এ ৭৮৯ ও দাগ নং সি.এস ও এস.এ ৮৫২ ও ৮৫৬, নাল জমির পরিমাণ ২৯ শতাংশ দুই ভাগে যাহা ১৪ ও ১৫ শতাংশ। উল্লেখিত আম-মোক্তার নামায় আরো বলা আছে কাজি নজরুল ইসলাম বৃদ্ধ হওয়ায় আত্মীয় কাজী মইনুল আরমকে সবকিছু দেখা শুনার ক্ষমতা হস্তান্তর করা হয়েছে, যার রেজিঃ নং- ৩০৮, তারিখ- ১৮/০৭/২০২৩ইং। উক্ত জমি কাজী নজরুল ইসলাম ১৯৫৫নং দলিলের মাধ্যমে ১৭/০৯/০৬ইং সালে তকবীর আহম্মদ মোল্লা (৭৫), পিতা- মৃত: আব্দুল বারিক মোল্লার নিকট থেকে ১,১০,০০০/- (এক লক্ষ দশ হাজার) টাকার বিনিময়ে খরিদ করেন। যাহার মৌজা নং ২৮ গোপালপুর, উপজেলা- আলফাডাঙ্গা, জেলা- ফরিদপুর।
অপরদিকে দেখা যায়, জোর পূর্বক দখলকৃত ব্যক্তিরা যে দলিল দেখিয়ে জমি দখল নিয়েছে ঐ সকল জমি পানি উন্নয়ন বোর্ডের এবং দলিলের কোথাও দাগ নংসহ ইত্যাদি লেখা নাই। এতে প্রমাণিত হয় ঐ দলিল বানোয়াট। এলাকাবাসী ও এলাকার মেম্বার শাহাদাৎ হোসেন জানান এই জমি মইনুল আলমকে কাজী নজরুল ইসলাম আম-মোক্তার করে দিয়েছে। একই কথা জানান এলাকার কাজী ইকবাল খোকন ও ইউনুস আলী খান। দলিল দেখে জানা যায় সুমাইয়া গংরা যাদের নিকট থেকে জমি ক্রয় করেছে তাদের মধ্যে ২ জন দলিল রেজিষ্ট্রি করার একাধিক বছর পূর্বে মারা গিয়েছে।
জমি সংক্রান্ত বিষয়ে কাজি মইনুল আলম জানান, জসিম সুমাইয়া গংরা যেকোন সময় আমার বড় ধরনের ক্ষতি করে দিতে পারে। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।
এদিকে জমি দখলকারী জসিমউদ্দিন জিকো জানান, সাড়ে তিন, সাড়ে তিন শতাংশ করে মোট ৭ শতাংশ জমি আমরা অন্য ব্যক্তিদের নিকট থেকে ক্রয় করেছি। গাছ কাটার বিষয়ে জসিম জানান এই গাছ আমরা রোপন করেছি তাই কেটে ফেলেছি এখানে ঘর উঠানো হবে।
উল্লেখ্য কাজী মইনুল আলম বাদী হয়ে ফরিদপুর আদালতে এ বিষয়ে সম্প্রতি একটি ফৌজদারী মামলা দায়ের করে জসিমউদ্দিন জিকো গংদের বিরুদ্ধে। মামলাটি গোয়েন্দা সংস্থায় তদন্তাধিন আছে বলে জানান কাজী মইনুল আলম।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: