দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার পর মোংলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। দিন- রাত পোস্টার টাঙাতে ব্যস্ত সময় অতিবাহিত করছেন তাদের কর্মীরা। ব্যানার-পোস্টার, লিফলেট বিতরণের পাশাপাশি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গণসংযোগ চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। প্রার্থীদের জনসংযোগে এখন সরব ভোটের মাঠ।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই মাঠে নেমে পড়েছেন প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা। ভোটারদের কাছে গিয়ে নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট চাচ্ছেন তারা। গণসংযোগের পাশাপাশি চলছে মাইকিং। অলি-গলি ছেয়ে গেছে পোস্টার ব্যানারে। অনেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করেও নিজেদের পক্ষে প্রচারণা চালাচ্ছেন।
সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের নানা প্রচারণায় মুখরিত থাকে শহর থেকে গ্রাম ও মহল্লা। প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীক নিয়ে ছুটছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। উঠান বৈঠক, গণ সংযোগ চালিয়ে নানারকম প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের কাছ থেকে ভোট প্রার্থনা করছেন প্রার্থীরা।
মাঠে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা ও বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা। অলিগলি, চায়ের দোকান ও মোড়ে মোড়ে নির্বাচনি পরিকল্পনা চলছে ভোটারদের মধ্যে। নির্বাচনে জয়লাভের প্রচেষ্টায় স্ব-স্ব প্রার্থীর সমর্থকরা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে প্রার্থীদের চলছে ভোট প্রার্থনা।
আসন্ন নির্বাচনে ভোটের মাঠে গনসংযোগ ও উঠান বৈঠকসহ নানা ভাবে প্রচারনায় নেমেছেন বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনের আওয়ামী লীগ, স্বতন্ত্র ও অন্নান্য প্রার্থীরা। শান্তিপূর্ণ পরিবেশ থাকলে উৎসবমুখর নির্বাচন হবে বলে মনে করেন ভোটাররা।
এবার বাগেরহাট-৩ আসনে সংসদ সদস্য পদে ৭জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী ও এ আসনের তিন বারের সাংসদ বেগম হাবিবুন নাহার নৌকা প্রতীক,
স্বতন্ত্র প্রার্থী বাগেরহাট জেলা আ'লীগের সহ-সভাপতি ও মোংলা উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব ইদ্রীস আলী ইজারাদার ঈগল প্রতীক, বাংলাদেশ কংগ্রেস প্রার্থী মফিজুল ইসলাম গাজী ডাব প্রতীক, তৃণমূল বিএনপি প্রার্থী মি. ম্যানুয়াল সরকার সোনালী আশ প্রতীক, জাতীয় পার্টি প্রার্থী মো.মনিরুজ্জামান মনি লাঙ্গল প্রতীক, জাসদ প্রার্থী শেখ নুরুজ্জামান মাসুম মশাল প্রতীক এবং বিএনএম প্রার্থী সুব্রত মন্ডল নোঙ্গর প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রযোজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে জানান সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও মোংলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পাল। তিনি বলেন, নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। নির্বাচনে জনগণ নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে। কেউ নির্বাচনী আচরণ লঙ্ঘন করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: