বৃহত্তর ঢাকা গ্রামীন অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩ আওতায় মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের পুখুরিয়ায় খিরাই নদীতে প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সেতু নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। নির্মাণ কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার হওয়ায় সেতুর স্থায়িত্ব নিয়ে সন্ধিহান এলাকাবাসী।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বাংলাদেশ সরকার (জি ও বি) প্রকল্পের স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর হতে ১৮ মাসের চুক্তিতে ব্রীজ নির্মানের কাজ পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান: এম বি ই এল-এস বি এন জেভি মিঃ মহিউদ্দীন মঈন। বালিয়াখোড়া ইউপি সড়কে খিরাই নদীর উপর ১৬৮০ মিটার চেইনেজে ৪২ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণে চুক্তিমুল্য ধরা থাকে ১১ কোটি ১৬ লাখ ২১ হাজার ৭৮৮.১৪০ টাকা। কিন্তু ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠাটি নিজে কাজ না করে সোনার বাংলা নামের একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নিকট ব্রীজ নির্মানের জন্য চুক্তি দেয়। সোনারবাংলা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীর সাথে
যোগসাজশে নিম্নমানের সমিগ্রী দিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। নির্মাণস্থলে গিয়ে দেখা যায়, কাদামাটি ও কংক্রিট মিশ্রিত পাথর দিয়ে তাড়াহুড়া করে কাজ করা যাচ্ছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা যায়, সরকার জনগণের জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করে সেতু নির্মানের জন্য অনুমোদন দিলেও তা সরকারী কর্মকর্তা ও ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মিলে নয়-ছয় করে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিপুর্বেও সাংবাদিক এসেছিলো উপজেলা প্রকৌশলী তাদেরকে বলেছিল যে সমস্ত নির্মান সামগ্রী খারপ আছে তা সরিয়ে ভালো জিনিষ দিয়ে কাজ করবে। আগের উপজেলা প্রকৌশলী বদলী হয়ে যাওয়াতে আবার নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ শুরু করছে।
সোনারবাংলা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তদারককারী কর্মকতা সুব্রত বলেন, আমাদের নির্মান সামগ্রী মালামাল ল্যাব টেষ্ট করে কাজ করছি। আপনারা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলীর সাথে কথা বলেন।
ঘিওর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো: কামরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি ঠিকাদারের পক্ষে সাফাই গেয়ে বলেন, সিলেট বালু (লাল বালু) ও পাথর খুবই ভাল মানের। জেলা অফিসের ল্যাব থেকে নির্মান সামগ্রী টেষ্ট করে কাজ করা হচ্ছে।
ঘিওর উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, দেখে বলতে হবে কেমন মালামাল ব্যবহার করা হচ্ছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: