ইসলামপুর শিক্ষা অফিসে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েনা, তদন্তে সহকারী পরিচালক

মোঃ রুবেল মিয়া | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ২৩:৩২

ইসলামপুর শিক্ষা অফিসে ঘুষ ছাড়া ফাইল নড়েনা,  তদন্তে সহকারী পরিচালক
জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌসের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে সরেজমিন পরিদর্শন করেছে তদন্ত টিম।
 
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বেড়ের গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মোঃ বায়েজীদ খান সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
 
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত অর্থ বছরে উপজেলার ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিপরীতে অস্থায় গৃহ নির্মাণের জন্য ৩৩লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয় সংশ্লিষ্ট মন্রণালয়। এ টাকার কাজ না করে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
 
অভিযোগকারী বেড়ের গ্রাম সরকার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মালেক প্রধান বলেন, আমার স্বাক্ষর জাল করে কে বা কারা শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছেন, আমি দায়েরকৃত ওই অভিযোগে কোন স্বাক্ষর করিনি। যে আমার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করেছে, উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট এমন জালিয়াতির জন্য সুষ্ঠু বিচারের দাবী করি।এদিকে তদন্ত চলাকালীন সময়ে উপজেলার আরও ৫৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন প্রতিষ্ঠানের নামে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন বরাদ্দের চেক বিতরণের আগেই উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগ তুলে ওই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে, লিখিত অভিযোগও দেন তারা। এ অফিসে টাকা ছাড়া কোন কাজ না করে দেওয়ার কথাও উল্লেখ করেন অভিযোগ পত্রে।
 
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ফেরদৌস বলেন, আজকে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত টিম এসেছে সেই অভিযোগ ভুয়া। কারন অভিযোগ কারী নিজেই তদন্ত টিমকে লিখিতভাবে জানিয়েছেন তিনি অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেননি। তার স্বাক্ষর জাল করে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
 
৫৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, তারা কাজ না করেই বিল চায়, আমি বিল না দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে নানাভাবে ষড়যন্ত্র করে আসছে। শিক্ষকরা কর্মদিবস ফাঁকি দিয়ে আজকে কেন এখানে এসেছে এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান এই কমকর্তা।এব্যাপারে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক মোঃ বায়েজিদ খান বলেন, আমরা তদন্ত করছি, আজও ৫৭টি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা এই শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছেন। আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট প্রতিবেদন জমা দিবো। পরবর্তীতে ডিজি মহোদয় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবেন।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: