জীবিত ব্যক্তিকে মৃত দেখিয়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার জাঙ্গালিয়া ইউনিয়নের ৩নং নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য (মেম্বার) মো. মহিবুর রহমান( রুবেল) এর বিরুদ্ধে ওয়ারিশ সনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ৩নম্বর ওয়ার্ডের কাজীর হাটি গ্রামের বাসিন্দা মূত আমীর উদ্দিন এর স্ত্রী, তার ৪টি ছেলে তিনটি মেয়ে রয়েছে তার মধ্যে কাজী মাইন উদ্দীন দুলাল তার বড় ছেলে বর্তমানে" মা" মোছাঃ ফিরোজা আক্তার কে মূত দেখিয়ে ওয়ারিশান সনদের আবেদন করে শুধু তাই নয় তার তিন বোন কে ওয়ারিশান সনদ থেকে বাদ দিয়ে ওয়ারিশন সনদ পদান করেন, বোনেরা হল পারভীন, রওশনা খাতুন, আকলিমা।
তিন বোন বাদী হয়ে কিশোরগঞ্জ জেলার প্রশাসক বরাবর আবদেন করেন ।
সম্প্রতি পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করতে তাদের ওয়ারিশ সনদের প্রয়োজন হয়। সনদের জন্য তারা স্থানীয় মেম্বার মোঃ মহিবুর রহমান এর শরণাপন্ন হলে পারভীন আক্তারের মাকে মৃত ও বোনদের নাম গোপন রেখে ওয়ারিশন সনদ ইস্যু করেন ইউপি মেম্বার এ সনদ ইস্যু করতে মোটা অংকের অর্থও লেনদেন হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ওয়ারিশিয়ানটি গত ২৯ অক্টোবর ২০২৩ আগস্ট এ সনদ ইস্যু করা হয়।
রওশনা আক্তার বলেন, আমাদের পৈত্রিক জমির কিছু অংশ বিক্রি করতে ওয়ারিশ সনদের দরকার হয়। আমরা জানতে পারি মা কে মৃত দেখিয়ে ওয়ারিশন সনদ করে নেন। তবে বড় ভাইকে ওয়ারিশনের বিষয়টি কেন গোপন করেছেন জিজ্ঞাসা করলে এ বিষয়ে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। বতমানে মোঃ মহিবুর রহমান রুবেল টাকায় বিনিময় ওয়ারিশ সনদ প্রদান করেন।
এ বিষয়ে ইউপি সদস্য মো মহিবুর রহমান( রুবেল) ,কে জিঞ্জাস করলে তিনি বলেন সরল বিশ্বাসে ওয়ারিশ সনদ তৈরি করে দিয়েছি। তবে এ বিষয়ে কোন টাকা পয়সা লেনদেন হয়নি এটা অপ্রচার করছে।
ইউপি চেয়ারম্যান বুলবুল বলেন, ওয়ারিশন সনদ যাচাই-বাছাইয়ের দ্বায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারদের। সে অনুযায়ী ওয়ারিশন সনদ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড মেম্বার যাচাই-বাছাই করে আনেন, আমি শুধু স্বাক্ষর করে দেই। কিন্তু মেম্বার যে কাজ করছে তা মোটেও ঠিক করেননি। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আজগর হোসেন বলেন, এটা বড় ধরনের অন্যায়। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা প্রমাণ হলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: