ইবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৩ পালিত

ইবি প্রতিনিধি | ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৫৮

ইবিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস-২০২৩ পালিত

“সবার জন্য স্বাধীনতা, সমতা এবং ন্যায়বিচার” প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস ২০২৩ পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

 
রবিবার (১০ ডিসেম্বর) ’ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের আয়োজনে সকাল ১০টায় মীর মোশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবন থেকে শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী ম্যুরাল চত্বরে এসে শেষ হয়।
 
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ. এম. আলী হাসান, প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী। এসময় ’ল এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সাহিদা আখতারের সভাপতিত্বে মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং অন্যান্যরা।
 
এসময় ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, 
আজকে আমরা যখন মানবাধিকারের সন্ধান করছি, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে একেক দেশে একেক রকম সংজ্ঞা। আমাদের দেশে যখন রাতের অন্ধকারে বাসে, ট্রেনে আগুন দেওয়া হচ্ছে, তখনই মানবাধিকারের প্রশ্ন আসছে। আজকে যখন দেখি গাজায় অল্প বয়সে মানুষকে গুলি করে মারা হচ্ছে, তখন সে বিষয়টি মানবিকতারের বিষয়ে আসছে না।
 
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সংবিধানে মানবাধিকারের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। তিনি ব্যক্তিগত জীবনে আপামর জনতার জন্য মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করে ছিলেন।
 
এ সময় প্রধান অতিথি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের বক্তব্যে বলেন,
গাঁজার মতো রোহিঙ্গাদের বাস্তুহারা করে বাংলাদেশের উপর চাপিয়ে দেওয়াটাই তাদের উপর মানবাধিকার লঙ্ঘনের উদাহরণ। বাংলাদেশে মানবাধিকারের জায়গাটা খুব বড় শক্ত তাও না কিন্তু নড়বড়ে করে ফেলছে পরাশক্তিগুলো। বাংলাদেশে ২০০৯ সাল থেকে মানবাধিকার কমিশন গঠন হলেও বিশ্বের সূচকে বি গ্রেডে ( ভালো না, খারাপ না) অবস্থান করে। এর পেছনে আমরা যতটা দায়ী তার চেয়ে বেশি দায়ী বিশ্বের পরাশক্তিগুলো। ১৯৭১ সালে লক্ষ লক্ষ শহিদ ও মা-বোনদের ইজ্জত হারানোর পর মানবাধিকার নামক জাতিসংঘ যুদ্ধ বন্ধের ঘোষণা দেয়। এই হচ্ছে বিশ্বের পরাশক্তির চালিকাশক্তি।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: