ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হক ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) একে অপরের বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী শামীম হক জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইকালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হকের দলীয় মনোনয়নপত্র বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদ ও মো. ফারুক হোসেন।
একই সময়ে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শামীম হকের পক্ষ থেকেও স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদের (এ কে আজাদ) বিরুদ্ধেও দ্বৈত নাগরিক হওয়ার অভিযোগ এনে মনোনয়ন বাতিল চেয়ে আবেদন করা হয়।
তবে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে দুই প্রার্থীকে আদালতে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার। সেই সঙ্গে তিনি দুইজনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেন।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শামীম হক একই সঙ্গে নেদারল্যান্ডস ও বাংলাদেশের নাগরিক। তিনি ডাচ পাসপোর্টধারী ও ভোটার। অপরদিকে আব্দুল কাদের আজাদের বিরুদ্ধেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বৈত নাগরিক বলে অভিযোগ করা হয়।
এ ব্যাপারে নৌকার মনোনিত প্রার্থী শামীম হক জানান, ‘আমি নেদারল্যান্ডসের নাগরিক ছিলাম। কিছুদিন আগে সারেন্ডার করেছি। যাবতীয় কাগজপত্র আমার কাছে আছে। এখন শুধুমাত্র বাংলাদেশের নাগরিক আমি।’
তিনি আরও বলেন, ‘সংসদ নির্বাচনে দ্বৈত নাগরিকদের নির্বাচন করার সুযোগ নেই বিষয়টি আমি জানতাম। এ কারণে আগে থেকেই নেদারল্যান্ডসের নাগরিকত্ব সারেন্ডার করেছি। নির্বাচন কমিশন চাইলে আমি আমার যেকোন কাগজপত্র দাখিল করব।’
এছাড়া সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শহরে জামায়াত ও বিএনপির লোকজন নিয়ে রাজনীতি করছেন।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ) বলেন, ‘দ্বৈত নাগরিকত্ব নিয়ে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে সেটি মোটেও সত্য নয়। আমি বাংলাদেশের নাগরিক। অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব নেই আমার।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি কোনোদিন অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব লাভের জন্য আবেদনও করিনি। আমি বাংলাদেশের পাসপোর্ট হোল্ডার। বিদেশের কোনো ব্যাংকে আমার অ্যাকাউন্টও নেই।’
এছাড়া সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কে আজাদ বলেন, আমার কর্মীরা ভয় ভীতির মধ্যে আছে কারণ আমার কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ‘দুই প্রার্থীর পক্ষ থেকেই অভিযোগ দেয়া হয়। তবে অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোনো পক্ষই দালিলিক প্রমাণ দিতে পারেনি। এ কারণে দুই জনেরই মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা করা হয়।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: