টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে ২ জন, টাঙ্গাইল -৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে ৬ জন ও মির্জাপুর আসনে ১ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করেন।
জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর করে জমা দিয়েছেন। সেখান থেকে ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য অনুসন্ধান কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়। অনেক ভোটারের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। ফলে স্বতন্ত্র প্রর্থীর সমর্থন যাচাই বিধিমালা লঙ্ঘিত হয়েছে। পরে আইন অনুযায়ী তাদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। তারা মনোনয়নপত্রের বৈধতা ফিরে পেতে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনে আপিল করতে পারবেন।
টাঙ্গাইল-৫ (সদর) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির বহিস্কৃত সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যাডভোকেট খন্দকার আহসান হাবিবের ১ শতাংশ জমা দেওয়া ভোটারের ১০ জনের মধ্যে ৬ জনের তথ্য সঠিক পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেনিগার হোসেন তন্ময়ের ১০টি ভোটারের কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
এ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৯ জন। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি ছানোয়ার হোসেন, কাদের সিদ্দিকীর ছোটভাই সাবেক ছাত্রনেতা মুরাদ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোজাম্মেল হক ও মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর নাতি হাসরত বিএসপির খান ভাসানী উল্লেখযোগ্য।
টাঙ্গাইল-৬ (নাগরপুর-দেলদুয়ার) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাকিরুল ইসলাম উইলিয়াম ঋণ খেলাপি ও ১০টি ভোটারের ৪ টি সঠিক পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি তারেক শামস খান ১০ জন ভোটারের ২ জনের স্বাক্ষর নেই। এছাড়াও তিনি ১ শতাংশ ভোটারের সঠিক সংখ্যা সংযুক্ত করেননি। স্ব¦তন্ত্র প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এটিএম আনিছুর রহমান বুবলবুল ১ শতাংশ ভোটারের সঠিক সংখ্যক ভোটারের সংখ্যা সংযুক্ত করেননি। বিএনএম প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত খন্দকার ওয়াহিদ মুরাদ ঋণ খেলাপি। স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল হাফিজ বিলাস ১ শতাংশ সংযুক্ত ভোটারের ১০ জনের মধ্যে একজনকেউ খুঁজে পাওয়া যায়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদ ইলাহ লিলুর ১০ জন ভোটারের ৭টির সঠিক তথ্য পাওয়া যায়নি। এ কারণে ৬ জনের প্রার্থীতা বাতিল করা হয়।
এ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ৭ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি আহসানুল ইসলাম টিটু ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক এমপি আবুল কাশেম উল্লেখযোগ্য।
টাঙ্গাইল-৭ (মির্জাপুর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য রাফিউর রহমান ইউসুফজাই সানী ১ শতাংশ ভোটারের সংখ্যা সংযুক্ত করেছেন। তবে ১০ জনে ভোটারের মধ্যে একজন ভোটার অনেক আগেই মৃত্যুবরণ করেছেন। মৃত ব্যক্তির স্বাক্ষর জাল করায় তার মনোনয়নপত্র বতিল করা হয়। মনোনয়নপত্র বাতিল প্রার্থীরা বলেছেন তারা প্রার্থীতা ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করবেন।
এ আসনে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা জন ৯ জন। আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি খান আহমেদ শুভ, উপজেলা চেয়ারম্যান থেকে পদত্যাগকারী স্বতন্ত্র প্রার্থী মীর এনায়েত হোসেন মন্টু ও জাতীয় পার্টির প্রার্থী জহিরুল ইসলাম উল্লেখ্যযোগ্য।
টাঙ্গাইল-৮ (বাসাইল-সখিপুর) আসনে ৭ জন প্রার্থীরই মনোনয়নপত্র বৈধ হয়েছে। এরমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক এমপি অনুপম শাজাহান জয় এবং কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীরউত্তম উল্লেখযোগ্য।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: