শহীদদের স্মরণে আমি বাংলায় বক্তব্য দিতে চাই: আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবিদ

অর্ণব দাশ | ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩২

শহীদদের স্মরণে আমি বাংলায় বক্তব্য দিতে চাই: আন্তর্জাতিক মঞ্চে আবিদ

শহীদদের স্মরণে আমি বাংলায় বক্তব্য দিতে চাই-আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘ইন্টারন্যাশনাল আইকনিক এক্সিলেন্সি এওয়ার্ড-২০২৩’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এমন এক মন্তব্য করেছেন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ।

একটি নিদিষ্ট গন্ডি থেকে ধীরে ধীরে গন্ডি পেরিয়ে বৃহৎ পরিসরে তরুণদের নিয়ে সামাজিক কাজ করে যাওয়া এক সংগঠন দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন,যা সেই করোনাকালীন সময়ে কয়েকজন তরুণের হাত ধরে আজকের দিনে তারুণ্য নির্ভর সামাজিক সংগঠন হিসেবে বহুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।একসময় চট্টগ্রাম থেকে তাদের সামাজিক কাজ শুরু হলেও এখন পুরো দেশব্যপী নিজেদের ব্যপ্তি ও কাজের পরিধি ছড়িয়েছে তাঁরা।

জানা যায়, তাঁদের এই পথচলা এতটা সহজ ছিল না।তবে দূর্বার তারুণ্যের এই পথচলায় যিনি সর্বদা তরুণ প্রজন্ম কে সাথে নিয়ে কাজ করতেন তিনি যেন এক স্বপ্নবাজ তরুণ।যাঁর সাহসী ও মেধাবী পরিকল্পনার সফলতার ফসল আজকের দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন।বলচ্ছিলাম দূর্বার তারুণ্যের প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আবু আবিদ এর কথা।সামাজিক কাজে তার ইউনিক আইডিয়া গ্রহন ও তার বাস্তবায়নের জন্য খুব অল্প সময়েই দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন গোটা বাংলাদেশ আজ পরিচিতি লাভ করেছে।

সম্প্রতি সামাজিক কাজে অবদান রাখায় দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ ইন্টারন্যাশনাল আইকনিক এক্সিলেন্সি এওয়ার্ড-২০২৩ এ ভূষিত হয়েছেন।যেখানে এবারের এওয়ার্ড অনুষ্ঠানের স্বাগতিক দেশ ছিল নেপাল। গত ২৩ শে নভেম্বর বৃহস্পতিবার নেপালে একটি পাঁচ তারকা মানের হোটেলে এই এওয়ার্ড শো এর আয়োজন করা হয়।

সেখানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন নেপালি কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিনা উপাধ্যায়, নেপাল সরকারের মাননীয় মন্ত্রী জনাব ত্রিথা বাহাদুর লামা, জলবায়ু পরিবেশ ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী গনেশ সাহা, পিপলস প্রোগ্রোসি পার্টির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট শিবাজী ইয়াদব, নেপালের কিংবদন্তী অভিনেতা মদন কৃষ্ণ সেরেস্তা ও হারিবাসা আচার্য, বাংলাদেশের কয়েকজন সচিব ও জাতিসংঘ ও সার্কের প্রতিনিধিবৃন্দ। একই দিনে মুহাম্মদ আবু আবিদ বিশেষ সম্মাননা হিসেবে নেপাল-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশীপ এওয়ার্ডও গ্রহন করেন।

দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু আবিদ আন্তর্জাতিক মঞ্চে দাঁড়িয়ে প্রথমেই বাংলায় বক্তব্য প্রদান করেন।বক্তব্যের শুরুতে তিনি কেন বাংলায় বক্তব্য দিতে চান তা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুরো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে কিনা ভাষার জন্য মানুষ শহীদ হয়েছেন।এটা আমার প্রথম আন্তজার্তিক মঞ্চে বক্তব্য।শহীদদের স্মরণে আজকের বক্তব্য আমি বাংলায় দিতে চাই।

বক্তব্যের শুরুতেই তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দেয়া ৩০ লাখ শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। মুহাম্মদ আবু আবিদ আরও বলেন, শ্রদ্ধা জানাতে চাই জাতিসংঘে দেশের সুনাম রক্ষার্থে ও মানবিকতা প্রতিষ্ঠাতায় যেসকল বীর সেনা জীবন দিয়েছেন তাদের প্রতি। আজ আমরা মানবিক কাজ করার জন্য এওয়ার্ড পাচ্ছি অথচ ঠিক এই সময়ে ফিলিস্তিনের গাজায় সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় ঘটে যাচ্ছে। এই বিষয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছি ও আন্তর্জাতিক মহলকে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাচ্ছি।

সম্মাননা নিয়ে মুহাম্মদ আবু আবিদ জানান,এই এওয়ার্ড দূর্বার তারুণ্যের সকলের।এই এওয়ার্ড বাংলাদেশের, এই এওয়ার্ড মানবিকতার,এই এওয়ার্ড বিশ্ব বিবেকের।

উল্লেখ্য, মুহাম্মদ আবু আবিদ চট্টগ্রামের সন্তান। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছেন। এছাড়াও তিনি তরুণ হিসেবে সাংবাদিকতায় বেশ সুনাম অর্জন করেছেন। সামাজিক কাজকে শৈল্পিকতায় রুপ দিয়ে তিনি অনেকবারই আলোচনার শীর্ষে উঠেছেন। তাঁর উদ্ভাবন করা অনেক প্রজেক্ট আজ দেশের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন পালন করচ্ছে। তাঁর সামাজিক কাজে অনন্য পরিকল্পনা যেন একটা মাধ্যম দেখিয়ে দেয়,সকল সংগঠককে। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ইয়ুথ ভলেন্টিয়ার এওয়ার্ড, করোনা যোদ্ধা এওয়ার্ডসহ নানান জাতীয় সম্মাননায় ভূষিত হয়েছিলেন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন:


জনপ্রিয় খবর