আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন-১৪৪, শেরপুর-২ (নকলা ও নালিতাবাড়ী) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি হয়েছেন ৯ প্রার্থী।
সংসদীয় এ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি প্রায় সকলেই ওয়েটফুল প্রার্থী। তবে অনেকের পরিচিতি কম এবং এলাকায় যোগাযোগ নেই বললেই চলে।
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশিরা হলেন- বর্তমান সাংসদ ও সংসদ উপনেতা আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান লেবু, সাবেক সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সচিব ও এসডিএফ চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ ফারুক, ঢাকা মেডিকেলের সাবেক ডিন ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (পিএসসি) সদস্য ডাঃ সোহরাব আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট চন্দন কুমার পাল, প্রয়াত উপজেলা চেয়ারম্যান কৃষিবিদ বদিউজ্জামান বাদশার ছেলে রাগিব হাসান ভাষণ, সাবেক সচিব নজরুল ইসলাম ও রোজি সিদ্দিকী।
এর মধ্যে বেগম মতিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন নিশ্চিত নিয়ে প্রশ্ন নেই রাজনৈতিক মহলে। রাজনৈতিক মহল মনে করেন, শেখ হাসিনার বিশ্বস্ত মতিয়া চৌধুরী যতোদিন সুস্থ এবং জীবিত আছেন ততোদিন এ আসনে বিকল্প কারও বিষয়ে দল ভাববে না। দলীয়ভাবে এখনো সিদ্ধান্ত প্রকাশ করা না হলেও মতিয়া চৌধুরীর মনোনয়ন নিয়ে নিশ্চিত অভিজ্ঞজন। তবে মতিয়া চৌধুরীর অনুপস্থিতিতে কে হতে পারেন এ আসনের কান্ডরী তা নিয়ে রয়েছে বেশ আলোচনা-পর্যালোচনা। সাবেক সিনিয়র সচিব নজরুল ইসলাম এবং আব্দুস সামাদ ফারুক এ দুই আমলার হাত অনেক উপর মহল পর্যন্ত রয়েছে এ বিষয়ে কারও অস্পষ্টতা নেই। তবে তুলনামূলক রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড, জনসম্পৃক্ততা, নেতৃত্ব ইত্যাদির ক্ষেত্রে ঘাটতি রয়েছে। সেক্ষেত্রে বর্তমান নালিতাবাড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোকছেদুর রহমান লেবু একাধারে তিনি অনেক বিশেষণে সমৃদ্ধ। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা সাহাব উদ্দিন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবং উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার।
মোকছেদুর রহমান লেবু আওয়ামী লীগের ব্যানারে ছাত্র রাজনীতি দিয়ে প্রবেশ করে শ্রমিক রাজনীতি, যুব রাজনীতি এবং সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করেন, এ নির্বাচনে আবারও বর্তমান সাংসদ মতিয়া চৌধুরী নৌকা প্রতীক নিয়ে আসছেন বিষয়টি দিবালোকের মতো স্পষ্ট।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: