আশুলিয়ায় ছোট বোনের লাশ নিয়ে মামলার দাবিতে থানায়

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি | ২২ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৪১

আশুলিয়ায় ছোট বোনের লাশ নিয়ে মামলার দাবিতে থানায়

সাভারের আশুলিয়ায় কলেজ পড়ুয়া এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে মামলার দাবিতে থানায় লাশ নিয়ে হাজির হয়েছেন তার পরিবার।

ভুক্তভোগীর বড় বোনের অভিযোগ, পুলিশ মামলা না নিয়ে নানা গড়িমসি করছে। তথ্য জানতে গেলে এসময় সাংবাদিকদের সাথেও খারাপ আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে এই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আশুলিয়া থানার সামনে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত রিয়া আক্তার (২০) আশুলিয়ার গাজীরচট লাল পাহাড় এলাকার মনির হোসেনের মেয়ে। সাভার লিজেন্ড কলেজের এইচএসসি পরিক্ষার্থী।

নিহতের বড় বোন কেয়া আক্তার বলেন, গতকাল আমার বোনকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে গেছে কাওছার নামের একটা ছেলে। কাওছার আমার বোনের সাথেই লিজেন্ড কলেজে পড়াশুনা করে। সম্ভবত ওই ছেলের সাথে আমার বোনের রিলেশন ছিলো এমনটাই জানতে পারছি আমার বোনের বান্ধবীর কাছ থেকে ।

পরে আমাদের ফোন করে রিয়া এনামে আছে বলে জানায় কাওছারের লোকজন। ওরা আমার বোনকে মেঝেতে ফেলে রেখেই পালিয়ে যায়। পরে চিকিৎসক গতকাল বিকেল ৩ টার দিকে রিয়া মারা গেছে বলে আমাদের জানায়। এরপর থেকেই আমরা এসআই নূর খানের সাথে যোগাযোগ করছি হত্যা মামলা নেয়ার জন্য৷ কিন্তু উনি মামলা না নিয়ে গতকাল থেকে আমাদের ঘুরাচ্ছে।
দারোগা আমাদের কে ব'লে সিসিটিভি ফুটেজ কালেক্ট করব, তদন্ত করছি এসব বলে গড়িমসি করছে। উপায় না পেয়ে আজ লাশ নিয়েই থানায় এসেছি।

থানায় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক স্বজন অভিযোগ করে বলেন, আমরা থানা লাশ নিয়ে আসছি শুনে এসআই নূর খান সন্ধ্যায় সেখানে আসেন। এরপর আমাদের অ্যাম্বুলেন্সের চালকের সাথে দুর্ব্যবহার করে লাশ নিয়ে যেতে বলেন। আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করেন তিনি। লাশ নিয়ে থানায় আসার বুদ্ধি আমাদের কে দিয়েছে সে বিষয়েও রাগান্বিত ভাবে জানতে চান। পরে মামলা হবে বলে আমাদের রাইটারের কাছে নিয়ে যান।এখনও আমরা সেখানেই আছি।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ খান রেগে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, চারতলা ভবনের ছাদ থেকে ওই মেয়েটা পড়ে মারা গেছে। আমি তদন্ত করছি। সিসিটিভি ফুটেজ নিয়া আসছি। সাংবাদিকরা ১৪ বছরেও পারব এটা কালেক্ট করতে। আমি সাংবাদিকতায় পিএইচডি করছি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থাইকা। আমিতো সাংবাদিকগো তথ্য দেই না। এটাতো মামলা হবে গতকালই সিদ্ধান্ত হইছে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম কামরুজ্জামান বলেন, এঘটনায়তো মামলা হচ্ছে। আপনাদের সাথে অসদাচরণের বিষয়টা আমি দেখছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: