ফরিদপুর জেলার কানাইপুর ইউনিয়নের খাসকান্দি গ্রামের নিবাসি মৃত ওসমান খা এর তিনপুত্র আবুল হাসেম খা , মাজেদ খা ও সামাদ খা । ওসমান খা এর মৃত্যুর পরে তিনভাই দুইভাগে বিভক্ত হয়ে যায় । সেই আলোকে পৈত্তিক সম্পত্তি ও আলাদা করে ফেলে তিনভাই । বড় ভাই হাসেম খা এর বাড়ির পাশে অন্য প্লট ( জমিতে ) গিয়ে বাড়ি ঘরে বসবাস শুরু করেন এবং ঐ প্লটের প্রায় ৩২ শতাংশ জমি আবুল হাসেম খা এর নামে পারিবারিক সমাধানে রেকর্ড করে নেন।
অপর দুইভাই সামাদ খা ও মাজেদ খা অন্য প্লট থেকে ৫৩ শতাংশ তাদের নামে রেকর্ড করে নেন প্রায় ৪০ বছর পূর্বে । বর্তমান বিএস রেকর্ড ও উভয়পক্ষের নামে আলাদা আলাদা করা হয়েছে । হঠাৎ করে বড় ভাই আবুল হাসেম খানের ছেলে খবির খান তার দুই চাচা সামাদ খা ও মাজেদ খা এর জমি দখল করার চেষ্টা করে এবং জমি দখলের চেষ্টায় বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারির আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত সহকারী কমিশনার ( ভূমি ) ফরিদপুর সদরকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন ।
ঐ প্রতিবেদনে দেখা যায়, সহকারি কমিশনার ( ভূমি ) ৪০ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে যেভাবে বন্টন করা হয়েছে এবং ৩ ভাই যেভাবে জমি ভোগ দখলে আছে সেভাবেই প্রতিবেদন দিয়েছে । ঐ প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিজ্ঞ আদালত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা মামলাটি খারিজ করে দেন । তারপরে ও গত শুক্রবার জোর পূর্বক দুই চাচার জমি দখলের চেষ্টা করে এতে চাচা সামাদ খা বাধা দিলে তার উপর নির্যাতন চালান এবং পুলিশ দিয়ে থানায় ধরিয়ে নিয়ে নির্যাতন চালানো হলে অভিযোগ করেন চাচা সামাদ খা ।
এ বিষয়ে সরেজমিনে এলাকায় গেলে উক্ত এলাকার খালেক মাতুব্বর ও জাহাঙ্গীর জানান , দীর্ঘ ৪০ বছর পূর্বে আমরা নিজেরা থেকে সালিশ করে জমি ভাগ বাটোয়ারা করে হাসেম খা কে ৩২ শতাংশ ও সামাদ খা ও মাজেদ খা কে ৫৩ শতাংশ দিয়েছি কিন্তু হঠাৎ করে হাসেম খা এর ছেলে খবির খা উক্ত জমি দখল করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে ভয় ভীতি দেখিয়ে যাচ্ছে ।
সামাদ খা এর পুত্র বধু রেহেনা জানান , আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছি , যেকোন সময় আমাদের মেরে ফেলতে পারে । আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি । তিনি আরো জানান , আমার ৮০ বছরের শ্বশুরকে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে নিয়ে নির্যাতন করান ।
এ ব্যাপারে সামাদ খা ও মাজেদ খা জানান , আমার ভাতিজা খবির খা আমাদের ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে , আমরা এখন নিরাপত্তা হীনতায় আছি ।
এ বিষয়ে খবির খা জানান , আমরা ঐ জমির ভাগ পাবো তাই ঐ জমিতে গিয়েছি এবং আমার টাকায় গর্তের মধ্যে বালু ফেলানো হয়েছে । থানায় ধরে এনে চাচাকে নির্যাতনের বিষয়টি অস্বীকার করেন ।
তিনি আরো জানান , আমি জমি প্রাপ্তির বিষয়ে বিজ্ঞ সদর সহকারী আদালত ফরিদপুরে একটি মামলা দায়ের করেছি যাহা চলমান ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ফাহিম ফয়সাল জানান , বাদী খবির খা এর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমি ছুটিতে থাকায় এ এস আই হারুনকে ঘটনাস্থতে যেতে বলেন এবং ৩ জনকে ধরে থানায় নিয়ে আসে । সামাদ খা কে মারধরের বিষয়ে আমি কিছুই জানি না ।
ফরিদপুর কোতয়ালী থানার এ এস আই হারুন জানান , ওসির নির্দেশে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে সামাদ খা সহ ৩ জনকে ধরে নিয়ে আসি পরে তাদেরকে ছেড়ে ও দেওয়া হয় । তিনি সামাদের মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন ।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: