সাভারের আমিনবাজারে একটি টিনশেড ঘরে আড্ডা দিতে গিয়ে হঠাৎ আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনায় সাত যুবক দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) রাত ১০ টার দিকে উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়নের হিজলা গ্রামের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুর রাজ্জাকের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিদগ্ধরা হলেন- বাড়িওয়ালা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রায়হান (২০), তার বন্ধু হাদিস (২০), নাহিদ (২০), জুয়েল (২২), মোনারুল (২২), আলামিন (২২) ও রুবেল (২৪)। দগ্ধরা কেউ মিস্ত্রী, কেউ দোকানের কর্মচারী এবং কয়েকজন গার্মেন্টস কর্মী।
আগুনে রায়হানের ২৮ শতাংশ, হাদিসের ১৩ শতাংশ, নাহিদের ১৭ শতাংশ, জুয়েলের শতাংশ, মোনারুলের ৭ শতাংশ, আলামিনের ১২ শতাংশ ও রুবেলের ১৩ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. তরিকুল ইসলাম।
দগ্ধ রায়হানের ভগ্নিপতি মোঃ রকিব বলেন, যেই ঘরে আগুন লেগেছে সেটি বহুদিন খালি ছিল। রাতে আট বন্ধু ওই ঘরে ঢুকে আড্ডা দিচ্ছিল। একপর্যায়ে তারা মুড়ি খায়। এ সময় তাদের মধ্যে একজন সিগারেট ধরানোর জন্য ম্যাচের কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ হয়। এতে সাতজন দগ্ধ হয়।
তিনি আরও বলেন, গত দুইদিন আগে ওই ঘরের পাশ দিয়েই ওয়াসার পানির লাইনের পাইপ বসানোর জন্য খোঁড়াখুঁড়ি করে। সম্ভবত ওই খোঁড়াখুঁড়ি জন্য গ্যাসের পাইপ লাইন লিকেজ থেকে ঘরের মধ্যে গ্যাস জমে ছিল। তা থেকেই হয়তো এই দুর্ঘটনাটি হতে পারে বলে ধারণা করছেন তিনি। ঘটে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মোঃ বাচ্চু মিয়া বলেন, সাতজনকেই বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে ঘটনাটি কীভাবে ঘটেছে তা জানতে সাভার থানা পুলিশকে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে আমিনবাজার পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ওই বাড়িতে হারুণ মোল্লার ছেলে এবং তার ছয় বন্ধু খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ করেই সিলিং ফ্যানে বিদ্যুতের লাইনে আগুন ধরে যায়। এ সময় বিদ্যুতের তার গলে আগুন ছড়িয়ে পড়লে সাতজনই দগ্ধ হন। জরাজীর্ণ বৈদ্যুতিক লাইন থেকে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: