মোংলায় এনজিওতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে মো: শাহ আলম ও সপ্না মন্ডলের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা বাদী হয়ে মোংলা উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। তবে কোনো সুরাহা হয়নি।
অভিযুক্ত মো: শাহআলম মিঠাখালি ইউনিয়নের গোয়ালিরমেঠ এলাকার মজিবর খাঁ এর ছেলে এবং একই ইউনিয়নের মৌখালী এলাকার রবীন্দ্রনাথ মন্ডলের স্ত্রী সপ্না মন্ডল।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্তরা একটি এনজিও প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার হিসেবে কর্মরত আছেন। ভুক্তভোগীরা তাদের পূর্ব পরিচিত ছিলো। ভুক্তভোগীদের এনজিওতে চাকুরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন টাকা হাতিয়ে নেয়। এর পর থেকে অভিযুক্তরা মোবাইলে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরণের কথা বলে তালবাহানা করে যাচ্ছে। এমনকি চাকরীর জন্য সার্টিফিকেট বানিয়ে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে।
শাহ আলম ও সপ্না মন্ডলের কাছে ভুক্তভোগীরা চাকরী/ টাকা চাইতে গেলে তাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। এমনকি ভুক্তভোগীদের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিবে বলে হুমকি দেয়।
ভুক্তভোগী সাথী মন্ডল বলেন, আমি একজন দরিদ্র পরিবারের মেয়ে। আগে বয়স্ক শিক্ষার স্কুলে সুপারভাইজার ছিলাম সেই থেকে সপ্না ও শাহআলমের সাথে পরিচয়। একপর্যায় তারা আমাকে তাদের একটি এনজিওতে চাকরী দেবার কথা বলে আমার কাছ থেকে দশ হাজার টাকা নেয়। এখন আমাকে চাকরীও দেয় না টাকাও দেয়না।
ভুক্তভোগী ফরিদা পারভীন বলেন, আমাকে এনজিওতে চাকরী দেবে বলে আমার ভ্যান চালক স্বামীর কাছ থেকে ৩৪ হাজার টাকা নেয়। আমাদের সুখের কথা চিন্তাকরে এই প্রতারক মহিলার খপ্পরে পরে আমার স্বামী তাকে সুদে টাকা এনে দেয়। এখন আমাদের নিঃস্ব হয়ে পথে বসার উপক্রম।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহ আলমের সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করেন এবং চাকরি দেওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি মোংলার সুপারভাইজার না আমি তো রামপালের সুপারভাইজার। আমার সাথে এদের সাথে কোন সম্পর্কই নাই। আমাকে যদি কোন দপ্তর নক করে আমি অবশ্যই যাবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর দাশ বলেন, চাকরীর না দিয়ে প্রতারণা করে টাকা আত্মসাত সংক্রান্ত একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তপূর্বক এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: