আল্লাহপাকের সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। যাদের মান এবং হুশ আছে তারাই মানুষ। নানা পেশার মানুষ নানা ভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যস্ত থাকে। হাতেগনা কিছু মানুষ অন্যদের নিয়ে ভাবনা চিন্তা করে। যারা সমাজের পিছিয়ে পড়া,সুবিধা বঞ্চিত কিংবা অবহেলা আর নির্যাতনের শিকার হচ্ছে,তাদের পাশে যেই মানুষ দাঁড়িয়ে সহযোগীতা করার চেষ্টা করে সেই ব্যক্তিকে অবশ্যই মানবতার ফেরিওয়ালা বলতে কারো কস্ট হবে না।
ইতিহাস স্বাক্ষী দিচ্ছে যারা মানুষের কল্যানে নিজকে উৎসর্গ করছে তারা আমৃত্যুও সম্মানিত হয়ে আজও মানুষের হৃদয়ে রয়েছে। কর্মব্যস্থার এই যুগে সমাজের অলি গলিতে ঘুরে অসহায় ও গরীবের মানুষদের পাশে সহযোগীতা করেন ,ভিক্ষুকদের হাতে খাদ্য সামগ্রী ও নগদ টাকা বিতরন, অসুস্থ্য ব্যক্তিদের চিকিৎসায় সহায়তা দিয়ে মানবতার নজির স্থাপন করেছেন জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান (টিটু),।
যিনি ইত্যিমধ্যে ইসলামপুরে গরিবের আস্থাভাজন হিসাবে অসহায়দের সহযোগিতা করেন, সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা প্রকল্প অফিস কক্ষের বারান্ধায় প্রতিদিন ভিক্ষুক, প্রতিবন্ধি,অসহায় ব্যক্তিদের ভিড় যাদের কেউ ফিরেন না খালি হাতে। এমন মহৎ কাজে উপজেলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে মেহেদী হাসান( টিটু) মানবতার ফেরিওয়ালা হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন।
চরপুটিমারি ইউনিয়নের আসমত আলী বলেন, আমার ১২ বছরের ছেলের মাথায় ব্রেণ টিউমার হয়ছে পিআইও মেহেদী স্যার কে জানালে তিনি আমার ৮ হাজার টাকা দিয়েছেন, স্যার সত্যিই অনেক মহৎ, প্রতিবন্ধি আমজাদ বলেন, আমার ছেলে-মেয়ে কেউ নাই অভাবের সংসার ঠিকমতো খাইতে পারি না এমন খবর পেয়ে মেহেদী স্যার আমাকে ১ মাসের বাজার করে দিয়েছেন, একই ইউনিয়নের ছমেদ আলী বলেন, আমার বউ আগুনে পুড়ে গেছিলো পিআইও স্যার কে জানালে কাপড়, খাবার এবং নগদ ৫০০০ টাকা নিছেন,এমন মহৎ কাজের হাজারো প্রমান বিদ্ধমান।
সরকারী কাজের ফাকে মানবিক কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে মানবিক অফিসার মেহেদী হাসান( টিটু) বলেন, সরকারী দায়িত্ব পালনের মাঝে যেই সময়টা পাই,সেই সময়ে মানবিক কাজগুলি করার চেষ্টা করি। মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজে থেকেই শান্তি পায় । এতে সরকারী কর্মকর্তাদের ভাবমুর্তিও বৃুদ্ধি পাবে বলে মনে করি। তবে মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজকে মহান মনে হয়।
ইসলামপুরবাসী আমাকে মানবিক কাজে সহায়তা করলে আমার পক্ষে আরও সহজ হবে ।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: