জামায়াত -বিএনপির অবরোধ-হরতাল ও দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষ। বিএনপি জামায়াত'র নৈরাজ্যের প্রতিবাদে সারাদেশে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এ শান্তি সমাবেশে যোগ দিতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন কুয়াকাটার পৌর মেয়র আনোয়ার হাওলাদার।
মেয়র'র উপর হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জেলা শ্রমিক লীগ
শুক্রবার ৩রা নভেম্বর) জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি স্বাক্ষরিত এক প্রেসে পৌর আওয়ামিলীগের সভাপতিকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন।
গত বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টায়
আওয়ামী লীগের পূর্ব ঘোষিত শান্তি সমাবেশের প্রধান অতিথি ১১৪ পটুয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য মহিবুর রহমানের সাথে যোগ দিতে গিয়ে কুয়াকাটার পর্যটন হলিডে রিসোর্টের সম্মুখে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বারেক মোল্লার নেতৃত্বে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে কুয়াকাটা এসি মসজিদ সংলগ্ন একটি ফার্মেসীর সামনে গেলে আবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি বারেক মোল্লার ছোট ভাই মোশাররফ মোল্লার নেতৃত্বে দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফায় হামলার শিকার হন পৌর মেয়র ও তার লোকজন। এসময় পৌর মেয়র ও তার লোকজনকে পাশের একটি আবাসিক হোটেলের গেটের মধ্যে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। পরে মহিপুর থানা পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় বঙ্গবন্ধু প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত ব্যানার পদদলিত করারও অভিযোগ উঠেছে সাবেক মেয়র ও তার লোকজনদের বিরুদ্ধে। এতে এলাকায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
এবিষয়ে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন বলেন শান্তি সমাবেশে এমন ন্যাক্কারজনক হামলা এটা দুঃখজনক। প্রেস বিবৃতির সত্যতা নিশ্চিত করে তিনি আরও বলেন মেয়র সম্মানিত মানুষ তারসাথে এমন ঘটনায় আমি হতবাক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পৌর আওয়ামিলীগের সভাপতি বারেক মোল্লা বলেন, জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি নিজেই একজন ভূমিদস্যু জামাত বিএনপির লোকজনের সাথে তার আতাত রয়েছে। ইতোমধ্যেই সে শ্রমিকলীগের কমিটিতে একাধিক বিএনপির লোককে সংযুক্ত করেছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: