ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর মৃত্যু, শতাধিক দোকান ভাঙচুর  

খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধি | ৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯

ড্যাফোডিলের শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর মৃত্যু, শতাধিক দোকান ভাঙচুর  
সাভারের খাগানের দত্তপাড়া এলাকার ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীকে ডেকে নিয়ে মারধরের পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। এঘটনায় ওই এলাকার প্রায় শতাধিক দোকান ভাঙচুর করেছে শিক্ষার্থীরা।
 
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের খাগান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এঘটনায় দোকান থেকে পেট্রল কিনে তারা দোকানের বেঞ্জসহ কাঠের সরঞ্জামে অগ্নিসংযোগ করে। তবে এঘটনায় হতাহতের খবর পাওয়া যায় নি।
 
নিহত ওই শিক্ষার্থীর নাম হাসিবুল ইসলাম অন্তর। তিনি ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল বিভাগের ৪৪ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। তার গ্রামের বাগি ময়মনসিংহ বলে জানা গেছে।
 
এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা জানায়, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির টেক্সটাইল ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী অন্তর (২০১) কে আকরাইন বাজারের কিছু লোক তুলে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে। পরে তারা অন্তরকে  খাগানে ফেলে দিয়ে চলে যায়। খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে আশুলিয়ার রাজু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য সাভারের এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল তিনি মারা যান। এর পর থেকে শিক্ষার্থীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। পরে আজ সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার প্রায় শতাধিক দোকানে ভাঙ্গচুর চালায়।
 
হামলার শিকার হোটেল ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলী বলেন, শিক্ষার্থীরা আক্রাইন বাজারের একটি পেট্রলের দোকান থেকে পেট্রোল কিনে দোকানের সামনে রাখা বসার বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া শতাধিক দোকানে ভাঙ্গচুর চালায়। তবে তারা কাউকে আক্রমন করে নি। এঘটনায় কেউ আহত নেই বলে জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, আমার হোটেলে এসে অতর্কিত হামলা চায়লায় তারা। কি কারনে হামলা করা হলো তা আমরা জানি না।
 
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে টীম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থী অন্তর হত্যা মামলার প্রাধান আসামি রাহাতকে গাজিপুর থেকে গ্রেপ্তার করে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এঘটনায় গ্রেপ্তার রাহাত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
 
এব্যাপারে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির পাবলিক রিলেশনশিপ অফিসার আনোয়ার হাবিব কাজলের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। 
 
প্রসঙ্গত, কয়েক দিন আগে শিক্ষার্থী অন্তরকে ডেকে নিয়ে ব্যাপক মারধর করে কিছু লোকজন। পরে তাকে খাগান এলাকায় ফেলে গেলে শিক্ষার্থীরা তাকে উদ্ধার করে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মারা যায় অন্তর।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: