নওগাঁয় বাজি ধরে ২ কেজি গুড় আর কলা খেয়ে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির

শহিদুল ইসলাম জি এম মিঠন | ২ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৯

নওগাঁয় বাজি ধরে ২কেজি গুড় আর কলা খেয়ে প্রাণ গেল এক ব্যক্তির
নওগাঁয় বাজি ধরে ২ কেজি গুড় ও কলা খেয়ে বায়োজিদ (৪৫) নামে এক কৃষকের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। বুধবার জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সে তার মৃত্যু হয়।
 
এর আগে, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গুড় ও কলা খেয়ে অসুস্থ হয় সে। নিহত বায়োজিদ নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার
পাড় আধাইপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে। 
 
স্থানীয় সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার ৩১ অক্টোবর দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে বদলগাছী উপজেলার ভাণ্ডারপুর বাজারে পাড়আধাইপুর গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলের সাথে ইসমাইলপুর গ্রামের লবার ছেলে বিতু কসাই সাথে গুড় ও কলা খাওয়া নিয়ে বাজি ধরে। বাজি অনুযায়ী বিতু কসাই স্থানীয় এক দোকানির কাছ থেকে ২কেজি দানাগুড় কিনে এনে বায়জিদকে খেতে দেয়। বাজিতে দুই কেজি গুড় বায়জিদ খেতে পারলে তাকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার জন্য আরও দুই কেজি গুড় কিনে দিবে বিতু কসাই। আধা ঘণ্টার মধ্যে দুই কেজি গুড় খেয়ে ফেলে এবং গুড়ের সাথে ২০টির অধিক কাচা মরিচ ও খান। বাজি ধরার পূর্বে বেশ কয়েকটি কলাও খেয়ে ছিলেন তিনি। পরে বাজিতে জয়ের পর আরও দুই কেজি গুড় দেওয়ার কথা থাকলেও বিতু কসাই তা না দিয়ে কৌশলে পালিয়ে যান। এসময় গুড় খাওয়ার বাজি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাই সেখানে। বাজি ধরে গুড় খাওয়ার পর একাধিক ব্যক্তি তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্ক জানতে চায় এবং তাকে স্থানীয় চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু তার শরীরের অবস্থা ভালো বলে সে বাড়িতে চলে যায়। বাজি শেষে স্বাভাবিক অবস্থায় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পর অসুস্থতা অনুভব করলে পরিবারের লোকজন তাকে আক্কেলপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার তার মৃত্যু হয়।
 
স্থানীয়রা আরো জানান, বায়জিদ ইতিপূর্বেও বিভিন্ন জনের সাথে খাবার খাওয়া নিয়ে নানা সময়ে বাজি ধরে বাজিতে জিতেছে। এছাড়া আরো আগে থেকে তার বাজির অভ্যাস আছে। সে একটা সময় যুবক বয়সে গুড়, রসগোল্লা, জিলাপি, কলার ছড়ি, পাকান, পাতিল ভর্তি খিঁড়সহ নানা ধরনের খাদ্যসামগ্রী বাজি ধরে প্রচুর পরিমান খেয়ে নিতো। বয়স বেড়ে যাওয়ার কারণে এখন আর খুব বেশি পরিমান খেতে পারেন না।
 
এ ব্যাপারে নওগাঁর বদলগাছী থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাঃ আতিয়ার রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। যদি কোন অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: