ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর প্রভাব উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন অবস্থায় রয়েছে। মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হয়েছে তেঁতুলিয়া নদী এখনো শান্ত রয়েছে। তবে দুপুরে পর থেকে মেঘনা নদীর ঢেউ বাড়ছে । ঝড়ের সতর্ক সংকেত বৃদ্ধি হওয়ায় চরাঞ্চলের মানুষের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে আসার জন্য নদীর তীরবর্তী এলাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে হঠাৎ করেই ভোলা থেকে মঙ্গলবার সকল নৌরুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। ইলিশা ফেরিঘাট ও ভেদুরিয়া লঞ্চ ঘাটে অনেক যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা গেছে।এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন থেকে রক্ষা পেতে সকালে ভোলা জেলা প্রশাসন জরুরী সভা করে নানা ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছেন।
তিন দিকে নদী ও এক দিকে সাগর বেষ্টিত উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলায় এখনো ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন এর বড় ধরনের প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে গুড়ি গুড়ি ও হালকা বৃষ্টি হয়েছে। ভোলার মেঘনা নদীর ঢেউ বাড়ছে ।
ভোলা নদী বন্দরের বিআইডব্লিউটিএর সহকারী পরিচালক মোঃ শহিদুল ইসলাম জানান, বৈরী আবহাওয়া ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন পূর্বাভাসে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ভোলা - বরিশাল, ঢাকা, লক্ষীপুর রুটে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ রয়েছে। ঘাটে এসে অনেক যাত্রী লঞ্চ না চলার কারণে বিপাকে পড়েছে। এসময় তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ রক্ষায় আজ বেলা ১১ ভোলা জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে দুযোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই সভায় জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, ভোলা ৭৪৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়াও শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির মজুতসহ নানা ধরনের প্রস্তুতি ও উদ্বোগ নেয়া হয়েছে।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সহ সাত উপজেলায় মোট ৮টি কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। প্রস্তুত করা হয়েছে ১৩ হাজার ৮শত ৬০ জন সিপিপি ভলান্টিয়ার ও ৯২ টি মেডিকেল টিম ।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: