নওগাঁয় 'এসএসসি' পরীক্ষার্থী এক স্কুল ছাত্রী (১৬) কে পালাক্রমে ধর্ষণ ও ধর্ষণের ভিডিও ধারণ পূর্বক সেই ভিডিও ফাঁস করার ভঁয়-ভিতি দেখিয়ে আবারো ধর্ষণের প্রস্তাব (ব্লাক মেইল) করার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করার মাত্র কয়েক ঘন্টা ব্যবধানে নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম ঢাকা শহরে অভিযান চালিয়ে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মূলহোতাকে গ্রেফতার পূর্বক রবিবার বিকেলে নওগাঁয় এনে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করেছে পুলিশ।
তবে অপর আসামী পলাতক থাকায় তাকে এখন (সংবাদ সংগ্রহ পর্যন্ত) গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। সম্পতি ন্যাক্কার জনক এ ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে নওগাঁ জেলা সদর উপজেলার হাপানিয়া ইউনিয়নে।
ভিকটিম সহ স্থানিয়রা জানায়, ঘটনার দিন সকালে ভিকটিম স্কুল ছাত্রী (এসএসসি) পরীক্ষার্থী প্রতিদিনের মতো নিজ বাড়ি থেকে পড়ার জন্য হাপানিয়া যাওয়ার পথে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে রাস্তার ধারের একটি রাইচ মিলের গেটে আশ্রয় নেয়। এসময় ঐ ছাত্রীর সম্পর্কে প্রতিবেশি ভাই চার্জার ব্যটারী চালিত (টমটম) ইজি বাইক চালক সুজন (৩৫) ও সম্পর্কে প্রতিবেশি চাচা মনোয়ার (৩৪) তাকে হাপানিয়া পৌছে দেওয়ার নাম করে (টমটম) ইজি বাইক যোগে একটি বাড়িতে নিয়ে তাকে ভঁয়-ভিতি দেখিয়ে ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে দু'জন ধর্ষণ করেন ও মোবাইল ফোনে পালাক্রমে ধর্ষণের ভিডিও ধারন পূর্বক ভিকটিম ছাত্রী (১৬) কে আবারো ভঁয় ও হুমকি দিয়ে বলেন, যদি তোর পরিবার বা কাউকে এঘটনা বলিস তাহলে ভিডিও নেটে ছেড়ে দিব, ভিডিও ছড়িয়ে পরলে তুই আর তোর স্কুল সহ কোথাও মুখ দেখাতে পারবি না। এ ঘটনার পর আবারো সেই ভিডিও ঐ ছাত্রী কে দেখিয়ে ব্লাক মেইল করলে (ভিকটিম) ছাত্রী পড়তে না গিয়ে ঘড়ের ভেতর ঢুকে কান্নাকাটি শুরু করেন।
এসময় পরিবার ও প্রতিবেশিরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার এক পর্যায়ে ভিকটিম ছাত্রী ঘটনাটি প্রকাশ করেন। ঘটনা প্রকাশের পরই গ্রামের লোকজনের মাঝে ক্ষোভের চৃস্টি হলে অভিযুক্তরা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এঘটনায় ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নওগাঁ সদর মডেল থানায় সুজন ও মনোয়ার এর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরই নওগাঁ সদর মডেল থানা পুলিশের একটি চৌকস টিম শনিবার ঢাকা শহরে অভিযান চালিয়ে মূলহোতা সুজন কে আটক করেন। তবে অপর অভিযুক্ত মনোয়ার পলাতক থাকায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আটককৃত সুজন হলেন, নওগাঁ সদর উপজেলার একডালা গ্রামের মোঃ ফজলুর ছেলে এবং পলাতক থাকা অভিযুক্ত ধর্ষক মনোয়ার হলেন, ভিকটিম বাড়ির পাশ্ববর্তী মোহনপুর গ্রামের আঃ সামাদের ছেলে।
ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে নওগাঁ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফয়সাল বিন আহসান, ওসি (তদন্ত) আঃ গফুর এবং ওসি অপারেশান নাজমুল প্রতিবেদক কে জানান, স্কুল পড়ুয়া ছাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ ও মুঠোফোনে ভিডিও ধারনের ঘটনায় ছাত্রীর বাবা থানায় মামলা করার পরই থানার চৌকস একটি পুলিশ টিম ঢাকাতে অভিযান চালিয়ে মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মামলার এক নাম্বার আসামী সুজনকে আটক পূর্বক নওগাঁতে আনার পর রবিবার বিকেলে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল-হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া মামলার অপর পলাতক আসামী মনোয়ার কে আটকের জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। আসামি পলাতক রয়েছে।
এই বিভাগের অন্যান্য খবর
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: