সুদে কারবারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে চাটমোহরবাসী

পাবনা প্রতিনিধি | ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৭:৫৯

সুদে কারবারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠছে চাটমোহরবাসী

সুদে কারবারীদের বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠেছে পাবনার চাটমোহরবাসী। তাদের শাস্তির দাবিতে বিভিন্ন এলাকায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকাল সাড়ে দশটায় চাটমোহর পৌর সদরের বালুচর সবুজ সংঘ চত্বরে সুদে কারবারী আলহাজ কবিবের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন এলাকাবাসী।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন, চাটমোহর পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রফেসর আব্দুল মান্নান, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইসাহাক আলী মানিক, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন, সাবেক কাউন্সিলর এ এম জাকারিয়া, ভুক্তভোগী শিউলি খাতুন, ফারুক হোসেন, তানভীর লিখন জুয়েল, আসাদুজ্জামান লেবু প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, নৌবাহিনী থেকে বরখাস্তকৃত ছোট শালিখা মহল্লার আলহাজ কবির সুদে কারবারীর মাধ্যমে সাধারন মানুষের রক্ত চুষে খাচ্ছেন। তার বাড়িতে চলে অসামাজিক কাজ। একের পর এক মামলা দিয়ে তার নিকট আত্মীয় সহ প্রতিবেশিদের হয়রানি করছেন।

সাবেক মেয়র প্রফেসর আব্দুল মান্নান বলেন, ‘আলহাজ কবির গর্ব করে মানুষকে বলেন তিনি নাকি বালুচর আর ছোট শালিখা মহল্লার মধ্যে সবচেয়ে বড় ধনী। তার মতো ধনী কেউ নেই। তার টাকার টাকার উৎস সুদ ব্যবসা। সম্প্রতি তার বাড়িতে ভাড়া দিয়ে নারী ব্যবসা শুরু করেছেন। তিনি মামলাবাজ। মানুষকে নানা কায়দায় ফেলে মামলা দিয়ে হয়রানী করে চলেছেন। টাকার গরমে তিনি ধরাকে সড়া জ্ঞান করছেন। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।’

উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইছাহক আলী মানিক বলেন, ‘আজ সমাজে সুদে কারবারী সবচেয়ে বড় খারাপ জিনিস। অনেকে নিঃস্ব হয়ে গেছেন। বিভিন্ন এনজিওর সুদের একটা মাত্রা নাই। কিন্তু সুদখোরের সুদের কোনো মাত্রা নাই। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ, নিকৃষ্ট এইসব সুদের কারবারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হোক।’

সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘সুদের কারণে প্রায় প্রতিটি এলাকায় মানুষ নিঃস্ব থেকে নিঃস্ব হচ্ছেন। এই অবস্থা চলতে পারে না। সুদ আর মাদকের বিরুদ্ধে যার যার জায়গা থেকে রুখে দাঁড়াতে হবে, ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। সামাজিকভাবে এদেরকে বয়কট ও প্রতিহত করতে হবে। যারা সুদের কারবারীদের সাথে জড়িত তাদের তালিকা করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।’

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আলহাজ কবির জানান, ‘আমার বিরুদ্ধে সুদ কারবারীর যে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তা মিথ্যা বানোয়াট। আমি নৌবাহিনীতে ২৭ বছর চাকুরী করে অবসর নিয়েছি। যে টাকা জমিয়েছিলাম স্থানীয় কুচক্রী মহল আমাকে ভুল বুঝিয়ে হালাল ব্যবসার প্রলোভন দিয়ে টাকা ধার নিয়েছে। আমার কাছ থেকে ৮ বছর আগে নেয়া সেই টাকা অনেকেই ফেরত দেয় নাই। আমি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। মুলত পূর্ব শত্রæতার জেরে আমার চাচাতো ভাই কুচক্রী লোকজনদের সাথে নিয়ে এই অপপ্রচার চালাচ্ছে।’

প্রসঙ্গত, এর আগে গত রবিবার (১৫ অক্টোবর) পৌর সদরের নতুন বাজার এলাকায় আরেক সুদে কারবারি মাদরাসা শিক্ষক আলতাব হোসেনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেন স্থানীয় বাসিন্দারা।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: