স্বামীর মরদেহে হাসপাতালে রেখে পালালো স্ত্রী

সময় ট্রিবিউন ডেস্ক: | ১৬ জুন ২০২৩, ০০:৩৬

সংগৃহীত ছবি

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে স্বপন মিয়া (৩০) নামের স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেল স্ত্রী সুইটি বেগম।

বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মঞ্জুনগর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে।

নিহত স্বপন উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপীর মঞ্জুনগর এলাকার এমাদ মিয়ার ছেলে। সে নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

হাসপাতাল ও পুলিশ সুত্রে জানা যায়, উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের পাগলা বাড়ি থেকে ছেড়ে গিয়ে সাদেকপুর ইউনিয়নের মৌটুপী মঞ্জুনগর গ্রামে বাড়ি তৈরি করে বসবাস শুরু করেন। সেখানে বসবাসরত অবস্থায় ৬-৭ বছর আগে প্রতিবেশী হাদিস মিয়ার মেয়ে সুইটিকে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে দুজনের সংসার বেশ ভালোই চলছিল। নদীতে মাছ ধরে তাদের সংসার চালাতেন স্বপন মিয়া। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে স্বপন মিয়াকে গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সেখানে রোগীকে ভর্তির পর যখন কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন ঠিক তখনই স্বামীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকজনসহ স্ত্রী পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতালে এসে মরদেহে সুরতাল রির্পোট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠান।

নিহতের মামা বলেন, লোকমুখে শুনেছি আমার ভাগিনা বিষপানে মৃত্যু হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন ও তার বউ নাকি তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসছে। এই খবর পেয়ে আমি হাসপাতালে এসে দেখি আমার ভাগিনার মরদেহ রেখে তার বউসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়ে গেছে। কিভাবে কি কারণে তার মৃত্যু হয়েছে তা এখনো জানতে পারি না। যেহেতু মরদেহ রেখে তারা পালিয়ে গেছে সেহেতু এই ঘটনার পিছনে নিশ্চয় কোনো রহস্য রয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা.সোয়েব রহমান বলেন, সকালে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত রোগী নিয়ে স্বজনরা আসলে হাসপাতালে আসলে আমরা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করি। এরপরেই রোগীর স্ত্রীসহ স্বজনরা মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক এসআই ওসমান গনি বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসে তাকে ভর্তি করে স্বপনের স্ত্রীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাৎক্ষণিক হাসপাতাল থেকে মরদেহ রেখে পালিয়ে যায়। এই মৃত্যুর ঘটনার সাথে কোন রহস্য রয়েছে কি না এই বিষয়ে তারা তদন্ত করা হচ্ছে।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: