প্রশংসনীয় কাজে আলোচনায় নেত্রকোণার ডিসি

মো. বাবুল, নেত্রকোণা | ১২ মে ২০২৩, ২৩:৫৭

ছবি- সংগৃহীত

গত কয়েকদিন আগে নেত্রকোণার বারহাট্রা উপজেলার বাউসি ইউনিয়নের ছালিপুরা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থী মুক্তি রাণী বর্মণকে একই এলাকার বখাটে কাউসার(১৮) প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় দিনেদুপুরে দাঁ দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে। 

ঘটনার পর নেত্রকোণা জেলার পুলিশ প্রধান এসপি ফয়েজ আহমেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান এবং বখাটে কাউসারকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে গ্রেফতারের আশ্বস্ত করেন।

ডিবি পুলিশ ২৪ ঘন্টার মাঝেই আসামীকে গ্রেফতার করে আদালতে সোর্পদ করে এবং ১৬৪ ধারায় জবানবন্দীতে খুনি কাউসার খুনের কথা স্বীকার করে।

এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আশরাফ আলী খান খসরু, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সজল, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান লিটন সহ রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ মুক্তি রাণীর পরিবারের পাশে দাঁড়ান এবং আইনি সহায়তায় ও নগদ অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করেন।

জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশও পাশে দাঁড়িয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবারের পাশে। তিনি নিহত মুক্তি রাণী বর্মণের পরিবারকে নিজ কার্যালয়ে ডাকেন এবং মুক্তি রাণী বর্মণের বড় বোন নিপা বর্মণকে নিজ কার্যালয়ে চাকুরী দেন।

নেত্রকোণা জেলার রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, বীর মুক্তিযোদ্ধা সেক্টর কমান্ডার, সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ কে সাদুবাদ ও কৃতজ্ঞা জানান।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ বলেন, প্রথমত আমি মর্মাহত এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। ধন্যবাদ জানাই নেত্রকোণা জেলা-পুলিশকে এত দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য।

তিনি আরো বলেন, নিহত মুক্তির পরিবার অসহায়ত্বের কথা চিন্তা করে তার বড় বোন নিপা বর্মণকে আমার কার্যালয়ে চাকুরী দেই।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: