ঈদ-উল-ফিতর উদযাপনের জন্য মানুষ রাজধানী ছাড়তে শুরু করছে। ফলে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী ঢাকা। একদিকে ফাঁকা রাজধানী, অন্যদিকে যানবাহনের চাপ বিভিন্ন সড়ক-মহাসড়কে।
বিগত ঈদগুলো সময়ে দেখা যেত রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম প্রবেশদ্বার গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাসে ঈদের ২-৩দিন আগে থেকেই যানযট লেগে থাকতো। যানজটে বসে থেকে অনেকেরই ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে যেতো। ঢাকা থেকে যেসব যাত্রী ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক ধরে বাড়ি ফেরেন, তাদের দুশ্চিন্তার অপর নাম গাজীপুরের যানজট। প্রায় সময়ই আবদুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা মানুষকে পথেই কাটাতে হয়। এবছর দেখা গেলো ভিন্ন চিত্র, যানজটমুক্ত গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা ও ভোগড়া বাইপাস।
আব্দুল আজিজ নামের এক বাসচালক বলেন, ‘এই সড়কে আগের মতো জ্যাম নাই। প্রতিবছর আমরা ড্রাইভার আর যাত্রীরা সারাদিন গাড়িতেই বসে থাকতাম গাজীপুরেই ইফতার করা লাগতো। এইবার দেখতেছি সড়কে হালকা জ্যাম। চৌরাস্তায় জ্যাম নাই কিন্তু গাড়ির চাপ আছে সড়কে।’
তাকওয়া পরিবহনের চালক মো. হিরন বলেন, ‘ বর্তমানে পুলিশ ভাইরা যা কাজ করতেছে রাস্তার জন্য সেই চেষ্টায় যানযট চৌরাস্তা থেকে মাওনা পাইতেছিনা। কালকে ঈদ সেজন্য রাস্তায় যানযট হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু আমরা এইবার তেমন কিছু দেখতেছিনা।’
অন্যদিকে সড়কে যাত্রীদের চাপ কম থাকলেও গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। ঈদের ব্যস্ততাকে সুযোগ হিসেবে নিয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। এসব কারনে ঈদে ঘরমুখো মানুষ অর্থনৈতিক চাপে পড়েছেন।
শাকিল আহম্মেদ নামের এক যাত্রী বলেন, ‘আমি সহ আমার পরিবার প্রতিবছর ঈদের একসপ্তাহ আগেই বাড়িতে চলে যাই যানজটের কারনে। এবছর একদিন আগে যাচ্ছি কারন দুদিন ধরে দেখছি সড়কে যানযট নাই তেমন তাই আজকে বের হয়েছি। সড়কে অনেক গাড়ি আছে কিন্তু অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে সে কারনে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে আমাদের।’
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন বলেন, ‘ধারণক্ষমতার চেয়ে সড়কে যানবাহন বেশি থাকায় যানযট সৃষ্টি হতো সে কারনে সড়কের ধারণক্ষমতা বাড়ানো হয়েছে। আমাদের পর্যাপ্ত জনবল সড়কে দিন-রাত কাজ করছে। আমাদের আটটি র্যাকার সড়কে রয়েছে কোনো গাড়ি নষ্ট হলে সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। সড়ক বিভাগ সহ সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় এবারের ঈদ যাত্রা স্বস্তির হয়েছে।’
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: