শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৬টি এয়ার রাইফেলসহ মাসুম বিল্লাহ ওরফে বুলবুল (৩০) নামের এক অস্ত্র চোরাকারবারীকে আটক করেছে নালিতাবাড়ী থানা পুলিশ।
১৪ এপ্রিল (শুক্রবার) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মধুটিলা ইকোপার্ক এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। ওই সময় তার আরও দুই সহযোগী দৌড়ে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
জানা যায়, মাসুম বিল্লাহ ঝিনাইগাতী উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। পালিয়ে যাওয়া অপর দুই সহযোগী ঝিনাইগাতী উপজেলার মালিঝিকান্দা ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য তাহেরুল ইসলামের ছেলে সাইদুল ইসলাম (মোটর সাইকেল চালক) এবং একই উপজেলার গিলাগাছা গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে মনির (অটোচালক) বলে মাসুম বিল্লাহর দেয়া তথ্যমতে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় ১৫ এপ্রিল দুপুরে শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেছেন পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান (বিপিএম)
এ সময় তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নালিতাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক মোঃ আব্দুস সালাম সঙ্গীয় ফোর্স সহ শুক্রবার সন্ধ্যায় নালিতাবাড়ি উপজেলার সষ্মুচুড়া এলাকায় ইকো পার্কের পাশের লাল টেংগুর পাহাড় সংলগ্ন সড়কে অভিযান পরিচালনা করে এই অস্ত্রের চালানটি আটক করে।
তিনি আরও জানান, বিগত ১০ই এপ্রিল নালিতাবাড়ি থানার পোড়াগাঁও ইউনিয়ন বিট অফিসার এস আই আবদুস সালাম গোপন সংবাদে জানতে পারেন যে একটি সঙ্গবদ্ধ অবৈধ চোরাকারবারি দল ভারত থেকে বেশ কিছু অস্ত্র চোরাচালানের মাধ্যমে বাংলাদেশে আনতে যাচ্ছে। উক্ত বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সন্দেহভাজনদের গতিবিধি সনাক্ত করে তাদের ধরতে নালিতাবাড়ী থানার একটি টিম কাজ করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় বিট অফিসার মোঃ আব্দুস সালাম উক্ত অবৈধ অস্ত্রের চালান বাংলাদেশ সীমানায় প্রবেশের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ শুক্রবার সন্ধ্যায় মধুটিলা ইকোপার্কের উত্তর পার্শ্বে বারোমারী-সমজচোড়া গামী লাল টেংগুর পাহাড়ের সামনে পাকা রাস্তার উপর অবস্থান গ্রহণ করে।
এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল এবং একটি ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সাকে চ্যালেঞ্জ করে পুলিশ। এতে মোটরসাইকেল ও অটোচালক তাদের গাড়ি ফেলে দৌড়ে ঘন জঙ্গলের ভেতর অন্ধকারে পালিয়ে যায়। এদিকে অটোতে বসা মাসুম বিল্লাহ ওরফে বুলবুলকে ৬টি এয়ার রাইফেলসহ হাতেনাতে আটক করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে নালিতাবাড়ী থানায় ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের (২৫ এর বি) ধারায় একটি অস্ত্র মামলা দায়ের করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত অস্ত্র ভারতে তৈরি এবং গায়ে ননলিথাল অস্ত্র লেখা আছে। তবে এগুলো লিথাল হিসেবে ব্যবহারের সুযোগ আছে কিনা তা এক্সপার্টদের মাধ্যমে যাচাই বাছাই করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: