কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীতে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার ঘটনা ঘটেছে। পবিত্র কুরআন অবমাননার অভিযোগে ফাতেমা বেগম নামে এক নারীকে আটক করেছে পুলিশ। সে ওই এলাকার মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে আসকার হোসেনের স্ত্রী।
তিলাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ওই নারীর দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি চেয়ছেন।
এলাকাবাসী জানায়, স্বামী-স্ত্রী দুজনের মধ্যে বনিবনা না থাকায় সবসময় ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। একে অপরকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সন্দেহ করতো। গত রোববার রাত ১১টার দিকে পুনরায় স্বামী-স্ত্রীর মাঝে ঝগড়া লাগে। সন্দেহ কাটাতে ঝগড়ার এক পর্যায় একে অপরকে পবিত্র কুরআন শরীফ নিয়ে শপথ করার কথা বলে। পরক্ষনেই স্ত্রী ফাতেমা বেগম রেগে গিয়ে কুরআন শরীফ মাটিতে ছুড়ে ফেলে দেয় এবং কুরআনের উপর দুই পা দিয়ে দাড়িয়ে থাকে। সোমবার সকালে পুনরায় ঝগড়া করে ফাতেমা তার স্বামীকে বাড়ি থেকে বের করে দিলে ঘটনাটি জানাজানি হয়।
কুরআন নাজিলের এই মাসে পবিত্র কুরআন শরীফ অবমাননার খবর পেয়ে ফুঁসে ওঠে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকালে কুরআন অবমানাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে শত শত মানুষ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে। খবর পেয়ে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই নারীকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পুলিশের সহায়তায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ওলামা পরিষদের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
প্রতিবেশি জাহানারা, জহুরা, নাজমা বেগম ও ফরিদুল ইসলাম জানান, এরা স্বামী-স্ত্রী প্রায় সময় ঝগড়া করতো। ওই দিন রাতে ঝগড়া থামাতে আসলে আমাদের সামনেই ফাতেমা পবিত্র কুরআন শরীফের উপরে দু পা দিয়ে দাড়িয়ে অবমাননা করে।
একই ইউনিয়নের ঘটনা স্থলের পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক সারোয়ার জানান, পবিত্র মাসে এমন একটি ঘটনা খুবই দুঃখ জনক মুসলমানদের জন্য। অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানাচ্ছি আমরা।
কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপারের নির্দেশে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে যান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুহুল আমিন। তিনি জানান, আটক ওই নারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: