খাগড়াছড়িতে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের মাঝে সাইকেল বিতরণ

এ এম ফাহাদ, খাগড়াছড়ি | ২৬ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৫

ছবি- সংগৃহীত

খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলার  দুর্গম পাহাড়ী জনপদ গোমতি থেকে চার কিলোমিটার দূরের তাকারমনি পাড়া থেকে প্রতিদিন হেঁটে গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ে আসে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আনিতা ত্রিপুরা। আড়াই কিলোমিটার দূরের তাইফা গ্রাম থেকে একই স্কুলে আসে ফারজানা রিতু। সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে লাইভ দেখে এমনই পাঁচ শিক্ষার্থীকে সাইকেল উপহার দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (২৫ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের হাতে সাইকেল তুলে দেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মাস্টার পরিমল দে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ডা. পরাগ দে।

এসময় গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন, গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম ও গোমতি বিরেন্দ্র কিশোর উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য নির্মল ত্রিপুরাসহ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।

সাইকেল উপহার পেয়ে পিতৃহীন আনিতা ত্রিপুরা জানায়, স্কুলে আসতে চার কিলোমিটার পথ কখনো হেঁটে আবার কখনো ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলে আসতে হতো। দিনমজুর মা প্রতিদিন টাকা দিতে পারতেন না বলে বেশিরভাগ সময়ই হেঁটে স্কুলে আসি। সাইকেল পেয়ে এতদিনের কষ্ট শেষ হলো।

আরেক শিক্ষার্থী সামারী ত্রিপুরা বলেন, সাইকেল পেয়ে ভালো লাগছে। এখন লেখাপড়ায় আর ব্যাঘাত ঘটবে না।

তাইফার ফারজানা রিতু নামের আরেক শিক্ষার্থী জানায়, আমাকে আসতে আর কষ্ট করতে হবে না। এখন সাইকেল চালিয়ে স্কুলে চলে যাবো।

সন্তানদের হাতে সাইকেল তুলে দেওয়ায় ডা. পরাগ দে’র প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান অভিভাবক খলিলুর রহমান ও কুবালা ত্রিপুরা।

গোমতি ইউপি চেয়ারম্যান মো. তফাজ্জল হোসেন বলেন, এমন উদ্যোগের ফলে দূর-দূরান্ত থেকে হেঁটে স্কুলে মেধাবী শিক্ষার্থীরা উৎসাহিত করবে।

এ ব্যাপারে ডা. পরাগ দে জানান, গোমতির দুর্গম এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা হেঁটে স্কুলে আসছে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে এমন তথ্য জানার পর শিক্ষার্থীদের নিজের বাবার নামে গড়া ফাউন্ডেশন থেকে সাইকেল দেওয়ার উদ্যোগ নেই। ভবিষ্যতেও শিক্ষার্থীদের কল্যাণে এ ধরনের কাজ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: