মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের ঢালীরখন্ড গ্রামের মৃত আকরাম ফকিরের মেয়ে পিন্জিরা আক্তার (৩০) কে রাতের আঁধারে জোরপূর্বক ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পিন্জিরা আক্তার ঢালীরখন্ড এলাকায় একটি চায়ের দোকান দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
বুধবার (৫ অক্টোবর) বাদী হয়ে ঢালীরখন্ড গ্রামের আরিফ ঢালীর ছেলে মোঃ হুমায়ুন ঢালী (৪৫) ও মোস্তফা কামাল ইজারদারের ছেলে মোঃ মুশফিকুর রহমান (২৮) এর নাম উল্লেখ্যসহ আরও ২/৩ জনের নামে মোংলা থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী ওই গৃহিনী। গৃহিনী বর্তমানে মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধুর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আচর, খামচি ও মারাত্মক মারধরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
থানায় দেওয়া অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) আনুমানিক রাত সাড়ে ১১টার দিকে চটেরহাট মন্দিরে অনুষ্ঠান দেখে গৃহিনী বাড়ি ফেরার পথে ঢালীরখন্ড ব্রীজের কাছে গেলে পূর্বে থেকে ওৎ পেতে থাকা মোঃ হুমায়ুন ঢালীসহ চার যুবক তার চলার পথ গতিরোধ করে চতুর দিক থেকে ঘেরাউ করে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করতে থাকে।
পরে ওই চার যুবক গৃহিনীর হাত ধরে টানা হেচড়া করে জোর করে ব্রীজের পাশে ধরে নিয়ে
জামা-কাপড় ছিড়ে বিবস্ত্র করে শ্লীলতাহানির পাশাপাশি ধর্ষণ চেষ্টা করে এবং শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেয়। দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় সময় ঐ গৃহিনীকে উত্যাক্ত করার পাশাপাশি কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন একই গ্রামের হুমায়ুন ঢালী (৪৫), মুসফিকুর রহমান (২৮), বুলবুল শেখ (৩০) ও আবুল হোসেন ঢালী (৪৫) অভিযোগে উল্লেখ করেন গৃহিনী পিন্জিরা আক্তার। কিন্তু লোক লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি তিনি।
হাসপাতালে গিয়ে ভুক্তভোগীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে থাকেন তারা। এরপরই গত মঙ্গলবার রাতে মন্দিরের অনুষ্ঠান দেখে বাড়ি ফেরার পথে মোঃ হুমায়ুন ঢালীসহ ওই তিনজন আমাকে জাপটে ধরে ধর্ষনের চেষ্টা করে। আমি ভয়ে চিৎকার করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে ওই চার ব্যক্তি পালিয়ে যায়।
মোঃ হুমায়ুন ঢালী সহ ৩জন মিলে আমাকে বেধড়ক মারপিট করে। এসময় আমি আহত হলে প্রতিবেশিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। চিকিৎসা সেবা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়ে থানায় অভিযোগ করি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মোঃ হুমায়ুন বলেন, গতকাল এমপি আসলে তার সাথে থাকা লোকজনদের চেয়ারে বসাতে গিয়ে খায়রুলদের বলি তোমরা ওঠো মেহমান গলে পরে বইসো। অনুষ্ঠান শেষে আমরা বাড়ি যাওয়ার পথে খায়রুল আমাদের মারধর করে।
এ ব্যপারে মোংলা থানার অফিসার্স ইনর্চাজ (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম বলেন, ধর্ষণ চেষ্টার একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উল্লেখ্য পিন্জিরা আক্তার গত বছরের ২১ জুন ইউপি নির্বাচনে সুন্দরবন ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: