ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে রনি (১৫) নামে এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর জখম করার অভিযোগে সৎ বাবা মাহাবুব রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকালে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের রুপগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে রনি ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
আহত রনি ওই গ্রামের নাসিরুল ইসলামের ছেলে। রনির সৎ বাবা চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার শংকর বাটি গ্রামের নুরুল হুদার ছেলে।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) রনির বাবা নাসিরুল ইসলাম বাদী হয়ে বালিয়াডাঙ্গী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, নাসিরুল ইসলাম তার স্ত্রী নুর নিহারকে তালাক দেওয়ার পর তার স্ত্রী মাহাবুব রহমানের সাথে দ্বিতীয় সংসার করে। নাসিরুলের ছেলে রনি কিছুদিন তার মায়ের কাছে ও কিছুদিন তার বাবার কাছে থাকে। রনি রাজমিস্ত্রির সহকারী হিসেবে শ্রমিকের কাজ করতেন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যাই তার সৎ বাবা মাহাবুব রহমান নেশা করার জন্য টাকা চাইলে রনি টাকা দিতে অস্বীকার করলে তার সৎ বাবা স্বজোরে মাথা, বুক ও হাতে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত ও কাটা জখম পূর্বক হত্যা চেষ্টা করে। মারধরের এক পর্যায়ে মাহাবুব রহমান পালানোর চেষ্টা করলে উত্তেজিত জনতা তাকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে।
আহত রনিকে উদ্বার করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে স্থানীয় লোকজন। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক আবাসিক মেডিকেল অফিসার আশংকা জনক অবস্থায় ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
রনির ফুপু নাসরিন বলেন, রনির মা মাদরাসায় পড়তে গেছিল। মাদরাসা থেকে এসে স্বামী ও স্ত্রীর মাঝে কথাকাটাকাটি হয়। পরে রনির সাথে মারামারি করে তার সৎ বাবা। এসময় তাকে দা দিয়ে আঘাত করছে তার সৎ বাবা।
রনির বাবা নাসিরুল ইসলাম মুঠোফোনে জানান, ছেলের অবস্থা উন্নতি অবনতি কিছুই বোঝা যাচ্ছে না। বর্তমানে ঠাকুরগাঁও সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করেছি। জড়িতের শাস্তির দাবি করছি।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল আনাম ডন জানান, 'এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার দিন আসামীকে গ্রফতার করা হয়েছে। শুক্রবারে (২৩ সেপ্টেম্বর) তাকে ঠাকুরগাঁও কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: