এবার সীমান্তে মিয়ানমারের ৪ মর্টার শেল নিক্ষেপ, নিহত ১

আকাশ মারমা, বান্দরবান | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২২:০৪

সংগৃহীত

গোলাগুলি যেন থামছে নাহ সীমান্তের ওপারে। একের পর এক মিয়ানমার সীমান্তের থেকে গুলি বর্ষণ কিংবা মর্টার শেল এসে পড়েছে বাংলাদেশের ভূখন্ডের। এ ঘটনায় কেউ হচ্ছেন হতাহত কিংবা সীমান্তের গিয়ে ষ্টল মাইন পড়ে পা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সীমান্তের বসবাসকারীদের। ফলে আতঙ্ক যেন থামছেন নাহ ওই সীমান্তের বসবাসকারীদের।

২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) রাতে মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যান্স লেন্ডের যুদ্ধ বিমান থেকে ছোড়া চারটি গোলা মর্টার শেল ছুড়ে পড়েছে বাংলাদেশের বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি তুংহব্রু সীমান্তের নো ম্যান্স লেন্ডের। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ৫ জন ও নিহত হয়েছে ওই সীমান্তের বসবাসকারী এক রোহিঙ্গা। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত রোহিঙ্গা শিশুসহ ৫ জন।

নিহত ব্যাক্তি মিয়ানমার সীমান্তের নো ম্যান্স ল্যান্ডের বসবাসকারী মো. ইকবাল (১৭)। তবে তার পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।

তুমব্রু রোহিঙ্গা ক্যাম্প কমিটির চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে চারটি গোলা এসে পড়ে। এর মধ্যে তিনটি শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টার শেল আরেকটি বাংলাদেশের ভূ খন্ডের ভেতরে পড়েছে। এতে এক রোহিঙ্গা শিশুসহ ৫ জন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে মোহাম্মদ ইকবাল নামে এক রোহিঙ্গা যুবক মারা যান।

এবিষয়ে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তে শূণ্যরেখায় বসবাসকারি রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর থেকে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে গোলাগুলি, মর্টার শেল বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গেছে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে শূন্য রেখায় বসবাসকারি রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে এসে পড়ে ৩টি মর্টার শেল। ক্যাম্পের নিটকর্বতী এলাকায় এসে পড়ে আরো ২টি। ৫ টি মর্টার শেল পরপর বিস্ফোরণ হয়েছে। এতে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছে আরো অনেকেই।

আরেক রোহিঙ্গা নেতা আরিফ জানান, আহতদের মধ্যে ৪ জনকে উদ্ধার করে কুতুপালংস্থ এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ বিস্ফোরণের পর রাত পৌনে ৯টার দিকে মিয়ানমারের একটি যুদ্ধ বিমান থেকে তুমব্রু বাজারের উপর এসে চক্কর দিয়ে গেছে। এসব কারণে আতংক বিরাজ করছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও ঘুমধুম সীমান্ত এলাকায়।

এ বিষয়ে বিজিবি , এপিবিএন, প্রশাসন কিংবা স্থানীয়সহ অন্য সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে সীমান্ত পরিস্থিতির কারণে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষা কেন্দ্র কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং পরীক্ষা কেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ওই উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর সংখ্যা রয়েছে ৪৯৯ জন।

এর আগে বিকেলে সীমান্তে স্থলমাইন বিস্ফোরণে ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি চাকমা পাড়া সীমান্তের ৩৫ নম্বর পিলারের সংলগ্ন মিয়ানমারের ১০০ গজ অভ্যন্তর এলাকায় এক যুবক আহত হন।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: