রাজশাহীতে এবার ৪৫২টি মণ্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা

বিজয় ঘোষ, রাজশাহী ব্যুরো | ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৬:০২

সংগৃহীত

আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন রাজশাহীর প্রতিমাশিল্পীরা। ইতোমধ্যেই মণ্ডপ গুলোতে শুরু হয়েছে দেবী দুর্গার প্রতিমা তৈরির কাজ। এবার রাজশাহীতে ৪৫২টি মণ্ডপে দুর্গোৎসবের প্রস্তুতি চলছে।

জানা গেছে, এবার রাজশাহী নগরীতে ৭৫ টি ও জেলার নয়টি উপজেলায় ৩৭৭ টি মণ্ডপে দুর্গা পূজা উদযাপিত হবে। নয়টি উপজেলার মধ্যে গোদাগাড়ী উপজেলায় ৩৯ টি, তানোর উপজেলায় ৬০ টি, পবা উপজেলায় ১৮ টি, মোহনপুর উপজেলায় ২২ টি, পুঠিয়া উপজেলায় ৫১ টি, দুর্গাপুর উপজেলায় ১৭ টি, চারঘাট উপজেলায় ৪১ টি, বাঘা উপজেলায় ৪৬ টি, বাগমারা উপজেলায় ৮৩ টি পূজা মন্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে।

প্রতিমা তৈরির কারিগরা জানান, প্রতিমার কাঠামো, আউর বাধা এবং মাটি লাগানোর কাজ চলেছে। এসব কাজ শেষ হলে প্রতিমাতে সাদা রঙের তুলির আঁচড় দেওয়া হবে। পূজাকে সামনে রেখে বর্তমানে রাত-দিন সমান করে কাজ করা হচ্ছে। তবে জিনিসপত্রের দাম বেশি হওয়ায় প্রতিমার খরচও বেশি হচ্ছে। আর পূজার আগের দিনের মধ্যে সবকাজ শেষ করে ডেলিভারী দিয়ে দেব।

পুরোহিত জিতেন্দ্রনাথ গোষামী জানান, ১ অক্টোবর মহাষষ্টি মধ্যে দিয়ে শুরু হবে এবং ৫ অক্টোবর মহাদশমী বির্ষজনের মধ্যে দিয়ে শেষ হবে। আর মা দূর্গা’র আগমন ঘটবে হাতি’তে এবং গমন করবেন নৌকায়।

মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শরৎ সরকার জানান, এবার মহানগরীতে ৭৫ টি পূজা মন্ডপে পূজা উদযাপিত হবে। আমাদের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। তা আমরা বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিচ্ছি। আর পূজা উদযাপন পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং রয়েছে। সেই মিটিং-এ যে সিদ্ধান্ত হবে সেটা আমাদের জানাবে। সেই মোতাবেক পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হবে।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অম্বর সরকার জানান, নয়টি উপজেলায় ৩৭৭ টি মণ্ডপে পূজার আয়োজন করা হয়েছে। তবে এই তালিকা সম্ভাব্য, পরবর্তীতে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। আর সেই মোতাবেক পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।


এ ব্যাপারে রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইফতেখায়ের আলম বলেন, ‘অন্য বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপনের ক্ষেত্রে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা থাকবে। প্রতিমা তৈরি থেকে শুরু করে বিসর্জন পর্যন্ত নিরাপত্তা দেওয়া হবে। ইতোমধ্যে গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। পোশাকি পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নিয়োজিত থাকবে। এছাড়া থানার অফিসার ইনচার্জরা পূজা কমিটির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মিটিং-এর মাধ্যমে সরকারী সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হবে। আর কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া যাতে শারদীয় দুর্গা পূজা উদযাপিত হয় সেই সঙ্গে কোনো ধরনের গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: