পাবনা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদুর মালিথাকে শুক্রবার প্রকাশ্য দিবালোকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত মামলা হয়নি।
এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ এখনও হত্যাকারী দুর্বৃত্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
এদিকে শনিবার বাদ জোহর নিহত আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদুর মালিথার জানাযা হেমায়েতপুর ইউনিয়নের চর বাঙাবাড়িয়া গ্রামের গোরস্থান মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জানা যায় তার রাজনৈতিক সহকর্মী ছাড়াও এলাকার বিপুল সংখ্যক সাধারণ মানুষ অংশ নেন। এরপর তাকে বিকাল সাড়ে তিনটায় দাফন করা হয়।
নিহতের স্ত্রী দিলরুবা জাহান অভিযোগ তুলেছেন হেমায়েতপুর ইউনিয়নের সাবেক এক চেয়ারম্যানের বিরূদ্ধে। তিনি তাদের আত্মীয়। তার সাথে তার স্বামীর জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের কারণে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এ হত্যার জড়িত বলে দাবি করেন তিনি।
হেমায়েতপুর ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম বলেন, শরিকানা জমি নিয়ে সায়েদুর মালিথার বংশের লোকেদের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এরই জেরে প্রতিপক্ষের সাথে তাদের ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার মারামারিও হয়েছে। এ ঘটনাও সেই বিরোধের জের বলেই শুনেছেন। তবে ওই এলাকায় বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানের একটি সোলার প্লান্টের জমি কেনা নিয়েও তাদের মধ্যে বিরোধ ছিলো বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার (০৯ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজের কয়েক মিনিট আগে সদর উপজেলার চর বাঙ্গাবাড়িয়া নজুর মোড়ের চায়ের দোকানে পাবনা পৌর আওয়ামী লীগ নেতা সায়েদুর রহমান কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে বসে থাকাকালে দুর্বৃত্তরা তাদের ঘিরে এলোপাথাড়ি গুলি করলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, বিকেল ৫টা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন মামলা হয়নি। লাশ শনিবার সকাল সাড়ে এগারোটার দিকে ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ এ ঘটনায় হত্যাকারীদের আটকে রাত থেকেই অভিযান চালালেও এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। এলাকায় পুলিশ পাহাড়া রয়েছে।
পাবনা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট তসলিম হাসান সুমন এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, ঘটনার মূল কারণ যাই হোক, এটা পরিকল্পিত হত্যাকান্ড। দোষী ব্যক্তিদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি দাঁড় করাতে হবে। আর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রেজাউল রহিম লাল ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: