রুহিয়ায় গোরস্থানের জমির-দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়েছে। আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ১নং রুহিয়া ইউনিয়নের ঘনিমহেশপুর এলাকায় সালেহা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন গোরস্থানের জমি স্থানীয় মহিউল ইসলাম গং কবলা মূলে খরিদকৃত মর্মে নিজেদের দাবি আসছিল। অপরদিকে ওই জমি সিএস ও এসএ রেকর্ডে গোরস্থান ও মুসলমান সাধারণের ব্যবহার্য্য মর্মে স্থানীয় ফজলুর রহমানের লোকজন সাইনবোর্ড দেয়। ওই সাইনবোর্ড মহিউল ইসলামের লোকজন রাতের আধারে তুলে নিয়ে যায়। সম্প্রতি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা ভূমি অফিস দলিল গ্রহীতাদের খারিজ বাতিল করে দেয়।
আজ সকাল ৮টার দিকে মহিউল ইসলাম ৫০/৬০ জনের একদল লোক নিয়ে ওই জমিতে বেড়া দিতে গেলে স্থানীয় মুসল্লীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দেয়। তারা জবর দখলকারীদের বেড়া প্রদানে বাঁধা দিলে দুই পক্ষের মাঝে ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া শুরু করে। প্রতিপক্ষের নিক্ষিপ্ত ইট পাটকেলে উভয়পক্ষের কমপক্ষে দশজন আহত হয়। আহতদের পার্শবর্তী আটোয়ারী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে রুহিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
গোরস্থান রক্ষা কমিটির সভাপতি ফজলুর রহমান জানান, সিএস ও এসএ রেকর্ড মতে গোরস্থানের জমি রয়েছে প্রায় দুই একর। কিন্তু চিনিকলা মাদরাসার সুপার গোপনে গোরস্থানের জমি দলিল মূলে কিনে নিয়ে হালচাষ করে। পরে ভুমি অফিস তাদের খারিজ বাতিল করে। আমরা সেখানে গোরস্থানের সাইনবোর্ড দিলে তারা ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
অভিযোগ প্রসঙ্গে মহিউল ইসলাম বলেন, আমরা রেকর্ডীয় মালিক তরিকুল ইসলামের নিকট কিনে নিয়ে চাষাবাদ করে আসছি। আমি আমার জমিতে বেড়া দিতে গেলে গোরস্থান কমিটির লোকজন বাধা দেয়।
এব্যাপারে রুহিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: সোহেল রানা জানান, গোরস্থানের জমির দখল নিয়ে সংঘাতের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। এখনো কোন কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলেই তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: