ফরিদপুরে জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে ৫ ই এপ্রিল ২০২২ ইং। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত প্রথমে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট এবং দ্বিতীয়বারে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটির ঘোষণার পর থেকেই একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে পরে ফরিদপুর জেলা বিএনপির নেতা কর্মীরা। ফরিদপুর জেলা বিএনপির কমিটি ৩ বছর পূর্বে যথা ৫ই সেপ্টেম্বর ২০১৯ সালে কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয় এবং কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতা ফরিদপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ রিংকু, বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা সাবেক রাজেন্দ্র কলেজের ভিপি খন্দকার মাশুকুর রহমান মাশুক ও অপর কেন্দ্রীয় নেতা সেলিমুজ্জামান সেলিম সহ ৩ জনকে ফরিদপুর জেলা বিএনপির নতুন কমিটি করার দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু তারা ৩ বছরেও কমিটি গঠন করতে পারে নাই। বহু দেনদরবার করে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে একাধিকবার আলাপ আলোচনার মাধ্যমে এই আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান ফরিদপুরের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা।
ফরিদপুরের তৃণমূলের প্রকৃত বিএনপির নেতা কর্মীরা ও সমর্থকরা জানান, দায়িত্ব প্রাপ্ত কেন্দ্রীয় ৩ নেতার ব্যর্থতার কারণে আহ্বায়ক কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল এই সুযোগে আহ্বায়ক কমিটিতে তার পছন্দের বেশিরভাগ সদস্যরা এই আহ্বায়ক কমিটিতে স্থান পায়।
তারা আরো জানান, আহ্বায়ক কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ পদবী থেকে বাদ পরেছে মাঠে থাকার রাজপথের সাবেক ছাত্র নেতারা যাদের ডাকে এখন ও শত শত নেতা কর্মীরা রাজপথে নেমে পরে । ঐ সাবেক ছাত্র নেতাদের ৯টি উপজেলায় ব্যাপকহারে সাধারণ কর্মী আছে। যেকোন সময় ঐ ছাত্র নেতারা আন্দোলনে ডাক দিলে রাস্তায় নামার জন্য প্রস্তুত রয়েছে। ঐ সকল নেতারা হলেন সাবেক রাজেন্দ্র কলেজের এজিএস, জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি আফজাল হোসেন খান পলাশ, রাজেন্দ্র কলেজের সাবেক এজিএস, বিএনপির জেলা কমিটির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি (ফরিদপুর বিভাগীয়), মহানগর যুবদলের সভাপতি ও সাবেক জেলা ছাত্রদলের সভাপতি বেনজির আহমেদ তাবরীজ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সিনিয়র একাধিক নেতারা জানান, শামা ওবায়েদ, মাশুকুর রহমান মাশুক ও সেলিমুজ্জামান সেলিম এর কমিটি গঠনে বিলম্বের কারণে বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি টি দুর্বল হয়েছে এবং যারা কমিটিতে শীর্ষ পদপদবী পেয়েছে তাদের মাঠে নিয়ন্ত্রিত তেমন কোন নেতা কর্মী নেই।
তারা আরো জানান, এই সুযোগে কেন্দ্রীয় কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুল তার নিজস্ব কিছু পছন্দের নেতাদের কমিটিতে স্থান করে দিতে পেরেছে, এটাই তার সাফল্য।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: