হরিরামপুরে রাস্তার কাজ বন্ধ: ভোগান্তিতে জনসাধারণ

সায়েম খান, হরিরামপুর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি | ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২৩:৩৬

সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে কান্ঠাপাড়া বাজার থেকে যাত্রাপুর হাই স্কুল সড়কের কাজ শুরুর দুই বছর পার হলেও কাজ শেষ হয়নি। শুধু বালু ফেলে রাখায় চলাচলে ভোগান্তিতে রয়েছে এলাকার জনসাধারণ এবং স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গোপীনাথপুর মধ্য পাড়া থেকে ভাটিপাড়া বাজার রোড (১৬৩৫ মিটার) এবং কান্ঠাপাড়া বাজার থেকে যাত্রাপুর হাইস্কুল রোড (১২৩০ মিটার) দুটি সড়ক প্যাকেজে ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকার কাজ পায় এএমকে ইঞ্জিনারিং এন্ড ডিজাইন নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের ১১ মে কাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১৪ জুনের মধ্যে কাজ শেষ করা কথা থাকলেও শেষ করতে পারেননি প্রতিষ্ঠানটি। পরে প্রকল্প পরিচালক ২০২২ সালের ২২ জুন পর্যন্ত কাজের সময়সীমা বৃদ্ধি করে। তবে সময় বৃদ্ধি করেও দুটো সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদার।

সরেজমিনে, গোপীনাথপুর মধ্যপাড়া থেকে ভাটিপাড়া সড়কে খোয়া ফেলোর কাজ শেষ হলেও পুরো সড়ক কাজ শেষ হয়নি। কান্ঠাপাড়া বাজার থেকে যাত্রাপুর সড়কে শুধু বালু ফেলা হয়েছে। ভোগান্তি পোহাচ্ছে স্কুলগামী শিক্ষার্থীরা। কয়েক শতাধিক পরিবার মালামাল আনা নেয়া করতে পারছেনা। বৃষ্টির পানিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা মঈনুল হোসেন খানের বাড়ির সামনে সড়কে বড় গর্ত হয়েছে।

যাত্রাপুর গ্রামের বাসিন্দা ও কান্ঠাপাড়া বাজার সঞ্জয় ফার্মেসির মালিক সঞ্চয় শীল আজকের পত্রিকাকে বলেন, চালের বস্তাসহ প্রয়োজনীয় মালামাল এ সড়ক দিয়ে নিতে অনেক সমস্যা হয়, বালু ফেলা রাখায় রিকশা ও অটোর চাকা আটকে যায়। সড়কের কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাই।

বয়ড়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য মিরাজ মিয়া বলেন, সড়কের কাজ শেষ করতে বায়েজিদ মিয়া নামের ঠিকাদারের সাথে নিয়মিত ফোনে যোগাযোগ করছি।

বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ফরিদুর রহমান ফরিদ বলেন, কাজটি দ্রুত শেষ করার জন্য ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি।

ঠিকাদার মোঃ বায়েজিদ বলেন, চল্লিশ লক্ষ টাকার বিল পাওয়ার কথা থাকলেও সেখান থেকে মাত্র ১২ লক্ষ টাকা পেয়েছি। কাজটা আগের নেয়া, ইটসহ সকল মালামালের মূল্য অনেক বেড়েছে। আশা করেছিোম ৪০ লক্ষ টাকা পেলে প্যাকেজের দুটো কাজ শেষ দ্রুত শেষ করতে পারবো। তবে যাত্রাপুর হাই স্কুল সড়কে খোয়া ফেলার কাজ কয়েকদিনের মধ্যে শুরু করবো। বাকী কাজও দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করবো।

স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী বলেন, ইটের দাম বৃদ্ধি, মালামাল দাম বৃদ্ধি জনিত কারণে কাজটা বিলম্ব হচ্ছে। একসাথে দুটো রাস্তার প্যাকেজের কাজ চলছে। গোপীনাথপুরের কাজ শেষ পর্যায়ে। যাত্রাপুরের রাস্তার কাজ দ্রুত শেষ করতে ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: