সমালোচনার ঝড়...

টিকটকে অশ্লীল ভিডিও: শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত

সময় ট্রিবিউন | ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৫:১৩

সংগৃহীত

রাজশাহী গোদাগাড়ীর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার অশ্লীল টিকটক ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছেন এলাকাবাসী।

তবে উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষিকার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অভিযুক্ত ওই শিক্ষিকার নাম সানজিদা খাতুন রাখি। তিনি গোদাগাড়ী উপজেলার সোনাদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক সানজিদা খাতুন রাখি রাজশাহীর পবা উপজেলার বসুয়ায় বাসিন্দা। ২০১১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামের ইতিহাস বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর করেন। ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় গোদাগাড়ী সোনাদিঘী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। 

সানজিদা ২০০৯ সালে ফেসবুকে একটি আইডি করেন। এরপর হালআমলে তিনি ভিডিও বানিয়ে টিকটকে লোড করেন। এসব নিয়েই ঘটেছে বিপত্তি। 

এলাকাবাসী ও স্কুলের শিক্ষকরা অভিযোগে বলেন, শিক্ষিকা সানজিদা সামাজিক মাধ্যমে ভীষণভাবে আসক্ত। প্রায় ৫ হাজার টিকটক ভিডিও রয়েছে তার। গুরুতর অভিযোগ হলো, তিনি টিকটকে অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন। এর আগে অশ্লীল ভিডিও টিকটকে ছাড়ার অভিযোগে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিলেন কর্তৃপক্ষ। ক্ষমা চাওয়ায় তাকে সেই বার ছেড়ে দেওয়া হয়।  
এলাকাবাসী ও শিক্ষিকার সহকর্মীরা অভিযোগে আরও বলেন, বেপরোয়া চালচলন হলেও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে অনেকের মুখ বন্ধ করেন তিনি। ইচ্ছেমতো স্কুলেও টিকটক করেন। রাস্তাঘাটেও করেন। যেখানে মন চায় সেখানেই টিকটক করেন তিনি। কেউ নিষেধ করলে তাকে ভয়ভীতি দেখান। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন নেতাকে দিয়ে প্রতিবাদকারীদের শাসান।  

গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জানে আলম বলেন, কিছু দিন আগেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তার বিরুদ্ধে গোদাগাড়ী প্রাথমিক উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা প্রশাসককেও জানানো হয়েছে।

এদিকে ওই শিক্ষিকার বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা নাসরিন বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে অবগত হওয়ার পর তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে শিক্ষিকা সানজিদা খাতুন রাখী বলেন, কিছু ব্যক্তি টিকটক ও ফেসবুকে আমাকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আমি ৬টি টিকটক ভিডিও বানিয়েছি যাতে কিছু অশ্লীল শব্দ আছে। তাতেও অনেকে গালাগালি দিয়েছেন। এসব আমার ব্যক্তিগত বিষয়।



আপনার মূল্যবান মতামত দিন: