পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ ফরিদ হাওলাদার এর কণ্যা মোসাঃ সোনিয়া আক্তার।
৪ সেপ্টেম্বর রবিবার বেলা ১২ টায় উক্ত ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উক্ত ইউপি সদস্যর এ কণ্যা তাঁর লিখিত বক্তব্য পাঠ করে বলেন ,তাঁর বাবার উপর গত ৩১ আগষ্ট বিকালে একই ইউপির উক্ত ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য বাবুল গাজী তাঁর লোকজন নিয়ে অর্তকিত হামলা করে। এতে তাঁর বাবা গুরুতরভাবে আহত এবং রক্তাক্ত হয়। পরে তাঁর বাবা উক্ত ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এ ইউপি সদস্য ও তাঁর সাঙ্গ পাঙ্গদের বিরুদ্ধে মহিপুর থানায় একটি সাধারণ ডাইরি করেন। তিনি এসময় আরও বলেন, তাঁর বাবা উক্ত ডাইরি করার অপরাধে ঐ দিন রাতেই এ ইউপি সদস্য তাঁর ছেলে সহ সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে তাদের বাড়ির আশেপাশে ঘেড়াও করে এবং আরেক দফা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত হামলা চালিয়ে তাঁর বাবা,মা,ভাই, ভাবী ও তাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে টাকা-পয়সা,ফোন, স্বর্ণ অলংকার নিয়ে যায়। পরে তাদের পক্ষ থেকে ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে মহিপুর থানা পুলিশ ঘটনা স্হলে গিয়ে তাদের কে উদ্ধার করে কুয়াকাটার তুলাতলি হাসপাতালে ভর্তি করে দেয়। পরে তাদের কে উক্ত হাসপাতাল থেকে পটুয়াখালী ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রেফার করা হয়। বর্তমানে তাঁর বাবা - মা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আছেন বলে তিনি জানান। সে এসময় এছাড়াও বলেন, এই ইউপি সদস্য (মেম্বার) বাবুল গাজী সব সময় স্হানীয়ভাবে সর্ব স্ততরের মানুুুষদের উপর,তাঁর ছেলে ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক প্রভাব খাটানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এর আগে ১১ নং ডালবুগঞ্জ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জসিম আকন এর সাথে মারামারি ও হামলা করছে।বর্তমান এমপি পরবর্তীতে সালিশ মিমাংশা করে দেয়। এছাড়া মারামারি হানাহানি অনেক বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিছে ঐ এলাকায়। এহেন কোন অপকর্ম নেই যা সে করেননি। সে এরুপ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং আমাদের প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে। আর অবশেষে হামলা চালিয়ে পরদিন বাবুল গাজী নিজেকে আমার বাবা কর্তৃক মারধরের শিকার দাবি করে বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেয়ার মিথ্যে নাটক সাজাচ্ছেন। যাতে করে আইনিভাবে আমাদের হয়রানি করতে পারেন। আমি ও আমার পরিবার এখন পর্যন্ত বাড়িতে যেতে পারতেছিনা। আমার পড়া লেখায় বিঘ্ন ঘটিতেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মোসাঃ সোনিয়া আক্তার এর সাথে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ ফরিদ হাওলাদার এর ছেলে মোঃ আবুল বাসার ও তাঁর বোনের ছেলে মোঃ ছাইফুল ইসলাম এবং পটুয়াখালী প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক বৃন্দরা। এ বিষয় মুঠোফোনে জানতে চাইলে ডালবুগঞ্জ ইউপির ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বাবুল গাজী জানায়, ফরিদ মেম্বার ও তাঁর চাচাতো ভাইর সাথে জমি- জমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিরোধ রয়েছে, আমি তা নিয়ে শালিশি করেছি, কেউর মধ্যে কেউর জমি বাজে নাই, তবে ফরিদ মেম্বারের মধ্যে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের একফুট জমি বাজজে, এই বাজাবাজিকে কেন্দ্র করে ফরিদ মেম্বারের সাথে তাঁর চাচাতো ভাইয়ের গন্ডগোল হয়েছে, তখন (আমি) তিনি সেখানে গেছি, ফরিদ মেম্বার ও তাঁর বড় ছেলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, তখন আমাকে মসজিদের ইমাম সহ স্হানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিরা উক্ত স্হান ত্যাগ করতে বললে আমি চলে আসি। গত বুধবার (আমি) তিনি ফরিদ মেম্বারের চাচাতো ভাইয়ের বাড়িতে যাই, তখন ফরিদ মেম্বার ও তাঁর ছেলে আমাকে মারতে গেলে (আমি) তিনি ওয়াবদার রাস্তায় উঠে একটি বাড়িতে ডুকি, সে সময় তাকে তাঁরা মারধর করে। তাতে তিনি আহত হলে তাকে তাঁর স্বজনরা কুয়াকাটার তুলাতলি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে, তাঁর পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করেন এ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । ইতিমধ্যে ডালবুগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে আমার পক্ষে মানববন্ধন করেছেন স্হানীয় জনসাধারণ ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। (আমি) তিনি বরিশাল হাসপাতালে ভর্তি আছি এই বলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেদেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: