নেত্রকোনার দুর্গাপুরে নাগেরগাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির মেধাবী শিক্ষার্থী আপন দাসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নাগেরগাতী উচ্চ বিদ্যালয় চত্বরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষার্থী ও ম্যানেজিং কমিটির আয়োজনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশ নেয় । এ সময় উপস্থিত সকলেই আপন দাসের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবি জানান।
মানববন্ধনে নাগেরগাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার ভাদুড়ীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, নাগেরগাতী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন রতন, ৯ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য ফরিদ মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা শহীদুল ইসলাম, নিহতের বড় ভাই প্রভাত দাস, নাগেরগাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক হারাধন সরকার, এনায়েত কবির, মোঃ আব্দুল কদ্দুস বেলালী, দেবতুষ চন্দ্র দে নান্টু, নিলুফা ইয়াসমিন, জাকিয়া আক্তার।
মানববন্ধনে অংশ নিয়ে নিহতের বড় ভাই প্রভাত দাস বলেন, প্রশাসনের কাছে এখন একটাই দাবি, আমার ছোট ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে এমন বিচার করতে হবে যেন আর কোনো ভাই যেনো তার ভাইকে এভাবে না হারায়।
নাগেরগাতী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অশোক কুমার ভাদুড়ী বলেন, আপন দাস আমাদের বিদ্যালয়ের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলো। শিক্ষার্থী আপন দাসকে নির্মমভাবে যারা হত্যা করেছে তাদের দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করাসহ হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
উল্লেখ্য, গত ৩০আগস্ট বিকেলে উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের পাবিয়াখালী গ্রামের ধানক্ষেত থেকে আপন দাসের গলিত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে আপন দাস গত ২৬ আগস্ট সন্ধ্যায় একই ইউনিয়নের নাগেরগাতী গ্রামের বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করে তাঁর সন্ধ্যান না পেয়ে থানায় সাধারন ডায়েরী করে আপনের পরিবার। আপন দাস চন্ডিগড় ইউনিয়নের নাগেরগাতী গ্রামের মৃত ভবেশ দাসের ছেলে।
হত্যার ঘটনায় আপন দাসের বোন ঝর্ণা রাণী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের নামে দুর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ গত দুই দিনে কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি।
দুর্গাপুর থানার পরিদর্শক তদন্ত এনামুল হক বলেন,আমরা হত্যার কারণ ও অপরাধীদের শনাক্তের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: