সংস্কারের অভাবে পুকুরে দূষিত পানি: গন্ধে বিপাকে এলাকাবাসী

শামসুল ইসলাম, রাজশাহী | ২৯ আগষ্ট ২০২২, ০২:৫৪

সংগৃহীত

রাজশাহী নগরীর গোরহাঙ্গা পুকুরের দূষিত পানিতে পুকুরপাড়ে বসবাসরত বাসিন্দা ও মসজিদের মুসল্লিগণ চরম বিপাকে পড়েছে। পুকুরের দূষিত পানির গন্ধে সেখানে বসবাসের অনুপোযোগী হয়ে উঠেছে। সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষকে অভিযোগ দিয়ে প্রতিকার পাচ্ছে না এলাকাবাসী।

এলাকাবাসী জানায়, ১২ বছর যাবৎ পুকুর পরিচালনা করছে সেন্টু ও আজু নামে দুই ব্যক্তি। তারা পুকুরে মাছ চাষ করেন। পুকুরে যেসব মাছের খাবার দেয়, তা পানি দূষিত করে ও ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে মসজিদের মুসল্লী ও পুকুরপাড়ে বসবাসরত মানুষ চরম দূর্ভোগে পড়েছে। এলাকাবাসী পুকুরে গোসল করে চর্ম রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এছাড়া পুকুর পাড়টি বিভিন্ন রকম ময়লা-আবর্জনা ফেলে ভূমিদস্যুরা দখলের চেষ্টা করছে বলে সরেজমিনে দেখা গেছে। পুকুর ও পরিবেশ রক্ষায় এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক পুকুর পাড়ের বাসিন্দারা বলেন, বার বছর ধরে পুকুরটি সেন্টু ও আর্জুর দখলে আছে। তারা বিভিন্ন রকম গবর মুরগির বিষ্ঠা ফেলে পুকুরের পানি দূষিত করছে। যদিও তারা পুকুরটি লিজ নিয়েছেন কিন্তু তারা সেটা সংস্কারে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তিনি আরও বলেন, এ পুকুরটি দখল মুক্ত করে ব্যবহারের উপযোগী করে তুলতে হবে। এতে পুকুর পাড়ে বসবাসরত বাসিন্দারা অনেক উপকৃত হবেন। আনুমানিক ৫ বিঘা জমির এই পুকুরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এলাকাবাসীর গোসল ও থালা বাসন মাজা ও পুকুর সংশ্লিষ্ট নানা কাজ। এলাকাবাসী সেন্টু ও আজুর ভয়ে মুখ খুলতে চায় না। তবে পুকুরের পানির গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে এখন মুখতে শুরু করে করেছে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে আজু বলেন, পুকুর সংস্কার তো আমিও চাই। পরিষ্কার পুকুরেই মাছ চাষ করতে হয়। কিন্তু এলাকাবাসী পুকুর নোংরা করছে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমি গোবর বিষ্ঠা দিয়েছি। পুকুরের দূষিত পানির গন্ধে এখন এলাকাবাসী একত্র হয়েছে। মসজিদ কমিটি আমাকে অভিযোগ দিয়েছে। এখন আমি পুকুরটি পরিষ্কারের কাজ শুরু করবো।

এ বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক কবির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আপনার নিকট থেকে জানতে পারলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আপনার মূল্যবান মতামত দিন: